নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

অমিত সাহাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

আবরারকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা : পুলিশ

আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অমিতের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ ‘অধিকতর তদন্তে’ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল সোমবার ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অমিত সাহাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। এদিকে, আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ১৯ জন আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জবানবন্দিতে বলা হয়, মূলত শিবির সন্দেহেই আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের জবানবন্দিতে হত্যার কারণ হিসেবে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে।

তিনি বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শেষ হবে। নভেম্বর মাসেই মামলার অভিযোগপত্র চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ঘটনার দিন রাতে বুয়েটে পুলিশের কোনো টহল টিম ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাত ৩টা পর্যন্ত বুয়েট এলাকায় পুলিশের একটি টিম টহল দেয়। কিন্তু তারা এ সময় কোনো হইচইয়ের শব্দ তারা পায়নি।

ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েটের সাম্প্রতিক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করে। ওই কমিটির অধিকতর তদন্তে উঠেছে এসেছে, অমিত সাহা ওই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথোপকথনের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অধিকতর তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।

অমিত সাহা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। তবে আবরার হত্যা মামলার এজাহারে অমিত সাহার নাম নেই। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের যে কক্ষে (২০১১ নম্বর) আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, অমিত সেই কক্ষের অন্যতম বাসিন্দা।

আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করেন বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close