কাজী আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

সেবাদানের পরিধি সম্প্রসারিত হচ্ছে

সক্ষমতা বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের

চট্টগ্রাম বন্দরের সেবার মান গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। সেবার পরিধি আরো বাড়ানোর জন্য বন্দরে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় (সেভেন সিস্টার) রাজ্যগুলোকে সেবা দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি চট্টগ্রাম বন্দরের রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সম্প্রতি দিল্লিতে যে এসওপি সই হয়েছে তাতে দেখা যায়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় (সেভেন সিস্টার) রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে আগ্রহী। এসব রাজ্য থেকে যেসব পণ্য ইউরোপে পাঠানো হয় সেগুলো অনেক পথ ঘুরে কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে যায়। তাই চট্টগ্রাম বন্দর তাদের কাছে হওয়ায় তা ব্যবহাররের জন্য চেম্বার টু চেম্বার আলাপ-আলোচনা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের ওই রাজ্যগুলো তাদের পণ্য ইউরোপে পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। আর তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বন্দরটি। এতে বন্দরের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর সব ধরনের সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর ড. কে এইচ আকতার হোসেন বলেন, এখন প্রয়োজন রাস্তা ও রেলপথের উন্নয়ন। তিনি বলেন, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আরো দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে। ভারতের ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সহজে তাদের পণ্য বিদেশে পাঠাতে পারবেন। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে আসতে হলে যে অবকাঠামো প্রয়োজন তা এখনো নির্মাণ করা হয়নি। দেশের রাস্তাগুলোর বহন ক্ষমতা বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ টনের মতো। এটি ৫০ টনে উন্নীত করতে হবে। রোড ক্যাপাসিটি না বাড়লে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য আনতে অনেক বেগ পেতে হবে। তবে বর্তমানে বন্দরের যে ক্যাপাসিটি রয়েছে তাতে তাদের সেবা দিতে বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই। চট্টগ্রাম বন্দর ভারতের ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করলে দেশের রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেবার মান আরো বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বন্দরে কমে এসেছে জাহাজের গড় অবস্থান। উন্নত একটি বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জাহাজের অবস্থানকাল কম হলেও আমাদানি-রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। সাধারণত এই গড় অবস্থানকালে তিন দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ২০১৭ সালে জাহাজের সর্বোচ্চ গড় অবস্থান সাত থেকে আট দিন পর্যন্ত ছিল। বর্তমানে বন্দরে গ্যান্ট্রি ক্রেন বাড়ার ফলে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজে গতি এসেছে। ফলে কনটেইনারবাহী জাহাজকে আগের চেয়ে কম সময় জেটিতে অবস্থান করতে হচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি কনটেইনারবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে থাকত। ২০১৮ সালে তা দুই থেকে তিনটিতে নেমে আসে। এই সময়কালে বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৭ সালে জাহাজ আসার সংখ্যা ছিল ৩,৩৭০টি, আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৭৪৭টিতে। চট্টগ্রাম বন্দর রুটে জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জাহাজের বর্তমান গড় অবস্থানকালীন সময়কে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বন্দরের চলমান সেবা কার্যক্রমে সন্তুষ্ট।

সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, এখন দিনে দিনে এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি পাওয়া যায়। আর এলসিএল কনটেইনার পাওয়া তিন থেকে চার দিনে। নেই কোনো জাহাজজট। নতুন যন্ত্রপাতি যুক্ত হওয়ার পর থেকে সামগ্রিক চিত্র পাল্টে গেছে।

কনটেইনার ওঠা-নামায় নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৭ সালে কনটেইনার ওঠা-নামা হয়েছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টিইইউ, ২০১৮ সালে সেটি হয়েছে ২৯ লাখ ৩ হাজার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। আর সাধারণ কার্গো ওঠা-নামা হয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ টন। এই খাতে প্রবৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ। জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালট্যান্সি (এইচপিসি) প্রণীত মহাপরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৮ সালে কনটেইনার ওঠা-নামা হবে প্রায় ২৪ লাখ, ২০১৯ সালে হবে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার এবং ২০২০ সালে হবে ২৯ লাখ একক কনটেইনার। আড়াই বছর পরের সেই পূর্বাভাস বা লক্ষ্যমাত্রা এখনই পূরণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

বন্দরের জলসীমা বেড়েছে সাত গুণেরও বেশি। ৭ দশমিক ৫ রানিং নটিক্যাল মাইলের জলসীমা নতুন ব্যাপ্তি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ রানিং নটিক্যাল মাইলে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ঘিরে যে মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বন্দরের জলসীমা বাড়ানো হয়েছে। ফলে বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে বন্দরের সেবার পরিধি।

কৌশলগত মহপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩৬ সালে ৫০ লাখ ৬০ হাজার টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চাপ সামাল দিতে হবে চট্টগ্রাম বন্দরকে। গত পাঁচ বছরে কনটেইনার পরিবহন দ্বিগুণ হয়েছে। এ চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে ইয়ার্ড সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন ইয়ার্ড নির্মাণের ফলে। নতুন করে ৩৭ একর জায়গার ওপর ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হতে যাচ্ছে। ফলে বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও চট্টগ্রাম বন্দর তা পরিবহনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প চূড়ান্ত হয়েছে। ৯০৭ একর জমির ওপর ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বে টার্মিনাল হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়ে যাবে তিনগুণ। বছরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) ১৬ শতাংশ কাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মোট ১ হাজার মিটার দীর্ঘ স্থানজুড়ে পাঁচটি জেটি এবং ১ হাজার মিটার দৈর্ঘ্যর ও ৩০০ মিটার প্রস্থের ব্যাকআপ ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে এ টার্মিনালে। পতেঙ্গা এলাকায় ১৪ ও ১৫ নম্বর খালের মাঝামাঝি লালদিয়ার চরে নির্মিত হবে এ টার্মিনাল। এ টার্মিনালে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। টার্মিনালের নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এসবের পাশাপাশি ভারি যন্ত্রপাতি আমদানি সুবিধাকে সহায়তা দিতে জিসিবি ও ১৩নং জেটিকে রূপান্তর করা হচ্ছে। নতুন টার্মিনালগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ড এবং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হয়েছে।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দুই দফায় তিনটি করে ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হওয়ার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চিত্র পাল্টে গেছে। নতুন আসা ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন টার্মিনালের তিন, চার ও পাঁচ নাম্বার জেটিতে যুক্ত করা হয়েছে। আগের চারটিসহ ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে এনসিটির পণ্য ওঠা-নামা শুরু হওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারীরাও খুশি। বন্দরের পণ্য ওঠা-নামার ক্ষেত্রে গ্যান্ট্রি ক্রেন বেশ সুফল বয়ে আনছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে খালাস পণ্য লাইটারে করে খালাস করতে কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি লাইটারেজ জেটি। সময় কমানো ও দ্রুত খালাস করার উদ্দেশে জেটিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আমাদনি বেশি তাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এসব জেটি। এরই মধ্যে দুটি জেটি পরিচালনা শুরু করেছে কেএসআরএম গ্রুপ ও কনফিডেন্স সিমেন্ট। এ পাঁচটি ছাড়াও আরো ১৫টি লাইটার জেটি নির্মাণ করছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দরকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও যুক্ত হয়েছে অনেক পরিবর্তন। ২০১৫ সালে চালু হয়েছে ১২৮টি সিসিটিভি। এছাড়া আরো ৮০০ সিসিটিভি বসানোর প্রকল্প বুয়েটের সমীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া বন্দরে অবাধে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে ১৬ হাজার মানুষের বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত টহলের পাশাপাশি যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে চ্যানেলের ১৫ নম্বর ঘাটের কাছে একটি র‌্যাপিড রেসপন্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে সদরঘাট থেকে বাকলিয়া পর্যন্ত কর্ণফুলী ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ হচ্ছে ২৪২ কোটি টাকা। হল্যান্ড থেকে ১৩০ কোটি টাকার সরঞ্জাম আনা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ৩৩৪টি পদে জনবল নিয়োগ চলমান রয়েছে। বর্তমানে ৮ হাজার ৬৭৯ পদের বিপরীতে কর্মরত আছে ৬ হাজার ৩৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বাণিজ্যিক এই বন্দরের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের কাজ প্রত্যক্ষভাবে বন্দরের কার্যকারিতাও প্রভাবিত করে।

চট্টগ্রাম বন্দরে কাছে প্রত্যাশা যেমন বেশি তেমনি দৈনন্দিন বাণিজ্য চাহিদা মেটাতে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এর কাজের পরিমাণ। হালের বিবেচনায় পর্যটন শিল্পের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনাকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কিছু বিশেষায়িত জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এসবের ভেতর রয়েছে মাইনিং জেটি এবং ফিশ হারবাল জেটি।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বল্পমেয়াদি ১৪টি প্রকল্প নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। নিউমুরিং এলাকায় ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ ও ৭নং খালের পাশে কনটেইনার ইয়ার্ড-ওভার ফ্লো-ইয়ার্ড নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। এছাড়া স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় অন্য যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে সার্ভিস জেটি নির্মাণ প্রকল্প, লাইটারেজ জেটি নির্মাণ প্রকল্প, জেটি এলাকায় আরসিসি ইয়ার্ড নির্মাণ প্রকল্প, ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধি, সার্ভিস ভেসেলস টাগ বোট, পাইলট ভেসেলস, মুরিং লঞ্চ ইত্যাদি সংগ্রহ এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ, জেটি ও টার্মিনালগুলোর জন্য ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ, ড্রেজার সংগ্রহ, সার্ভে ভেসেলস সংগ্রহ ও টাইড হাউস নির্মাণ, মহেশখাল ও মাতারবাড়ী এবং কুতুবদিয়াতে পোর্ট লিমিট বৃদ্ধি, সিটিএমএস টাওয়ার নির্মাণ, দুটি কাটার সাকশন ড্রেজার সংগ্রহ।

বন্দর উন্নয়নে মধ্যমেয়াদি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বে-টার্মিনাল নির্মাণ (১ম পর্যায়), ওয়ানস্টপ সার্ভিস বাড়ানো, ট্যাগ বোট, পাইলট ভেসেলস, ওয়াটার বার্জ, বয়া লিফটিং ভেসেলস ইত্যাদি সংগ্রহ, জেটি ও টার্মিনালগুলোর জন্য ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ, বন্দরের জিসিবি এলাকায় ৯-১৩নং জেটিতে কর্ণফুলী কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ, রেজু খাল প্রকল্প, স্ট্র্যাটেজিক ফ্ল্যোটিং হার্বার স্থাপন প্রকল্প ও ভিটিএমআইএস বর্ধিতকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প। বন্দরের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close