আদালত প্রতিবেদক
আবরার হত্যা
অনিক সরকারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা বুয়েট ছাত্র অনিক সরকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এদিকে গ্রেফতার আরেক আসামি মাজেদুর রহমান নওরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। হত্যা মামলার আরেক আসামিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ছয় দিনে ১৯ জন গ্রেফতার হলেন। গত ৬ জুন আবরার খুন হওয়ার পরপরই যে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের একজন অনিক। গ্রেফতারের পর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। গতকাল শনিবার অনিককে ঢাকার আদালতে নিয়ে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানায় মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিবি।
বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আবরারের বাবার করা মামলায় আসামি হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, অনিক সরকার ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়েছেন। মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তার খাস কামরায় আসামির জবানবন্দি নেন।
এই হত্যা মামলায় এর আগে বুয়েট ছাত্র মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও ইফতি মোশাররফ সকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আবরারকে পেটাতে পেটাতে অনিক একটি ক্রিকেট স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলেছিলেন বলে ইফতি তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন। অনিক জবানবন্দিতে কী বলেন জানতে চাইলে উপকমিশনার ফজলুর বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। কী বলেছে, সেটা জানি না।’ জবানবন্দি নেওয়ার পর অনিককে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাম শুধরে দিলেন মাজেদ
আবরার হত্যাকা-ের পর আসামির তালিকায় থাকা মাজেদুল ইসলামকে গত শুক্রবার সিলেট থেকে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে তিনি জানান, তার নামটি ভুল বলেছে পুলিশ। এই বুয়েট ছাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার নাম মাজেদুর রহমান নওরোজ। পুলিশ ভুল করে মাজেদুল ইসলাম লিখেছে।’
আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় যে মামলাটি করেন সেখানে আসামির তালিকায় ৮ নম্বরে মাজেদুল ইসলামের নাম রয়েছে। বুয়েটের শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের কর্মী ও ম্যাটারিয়াল অ্যান্ড ম্যাটার্লজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজেদকে শনিবার গ্রেফতারের সময়ও পুলিশ নাম ‘মাজেদুল’ই বলেছিল।
"