নিজস্ব প্রতিবেদক
হাসপাতালে আরো দুই দিন থাকছেন সম্রাট
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে বহুল আলোচিত বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে দন্ডিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট আরো দুই দিন হাসপাতালে থাকছেন। তার বিষয়ে কাল শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মহসিন আহমেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাকে আরো দুই দিন অবজারভেশনে
রেখে শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ‘অসুস্থবোধ’ করায় সম্রাটকে গত মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আনা হয়। সেখানে ড. মহসিনের তত্ত্বাবধানেই সম্রাটের চিকিৎসা চলছে। তাকে আরো ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বুধবার তিনি জানিয়েছিলেন। সেই মেয়াদ আরো ৪৮ ঘণ্টা বাড়ল।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে ছিলেন সম্রাট। শনিবার গভীর রাতে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র?্যাব।
পরে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১ হাজার ১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানায় র?্যাব।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রমনায় করা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। দুই মামলায় তাকে ২০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছে। হাসপাতালে থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।
সম্রাটের সহযোগী আরমানকে আদালতে হাজির করে মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুল হক ভূঁইয়া। ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী দুজনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।
"