সিলেটে চাঞ্চল্যকর শিশু নাঈম হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার সিলেট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুহিতুল হক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরান তেতলী গ্রামের মৃত মো. আফতাব আলীর ছেলে মো. ইসমাইল আলী (২২), একই এলাকার মো. ইছহাক মিয়া ওরফে ইছহাক আলীর ছেলে মো. মিঠুন মিয়া (২০) ও তার ভাই রুবেল (১৮), দক্ষিণ সুরমা থানার দক্ষিণ ভার্থখলা ডি ব্লকের ডিপটি ওরফে রুবেলের ছেলে বিপ্লব ওরফে বিপলু (১৮)। আর খালাসপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার নাদবুদ (সুয়াজিবাড়ী) গ্রামের মো. আবুল কাশেম ওরফে আবুল হোসেনের ছেলে জুনেদ হোসেন (১৯)। বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম এহিয়া জানান, মামলার রায়ে তার মক্কেল সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তারা।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরান তেতলির বাসিন্দা আবদুল হকের ছেলে মোজাম্মেল হক নাঈম লিটল স্টার কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট রাতে তারাবির নামাজে গিয়ে অপহৃত হন নাঈম। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সন্দেহভাজন হিসেবে তার সহপাঠী ইসমাইল ও মিঠুনকে গণধোলাই দিলে তারা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো মতো নাঈমের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। খুনিরা আদালতকে জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১১ সালের ২০ আগস্ট নাঈমের বাবা আবদুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক মো. হারুন মজুমদার পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।

"