কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

  ১০ অক্টোবর, ২০১৯

আবরারের বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না ভিসি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাড়িতে ঢোকার মুখে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন বুয়েট ভিসি ড. সাইফুল ইসলাম। এক পর্যায়ে ওই বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যের পাহারায় দ্রুত তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। গতকাল বুধবার আবরারের কবর জিয়ারত করতে ভিসি ড. সাইফুল

ইসলাম কুষ্টিয়া যান। এ সময় হাজারো নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে বুয়েট ভিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় মাইক্রোবাসে করে দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়েন তিনি। এ সময় এলাকাবাসী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় দুজন আহত হন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সেখান থেকে চলে যান।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে আবরারের কবর জিয়ারত করেন বুয়েট ভিসি। এ সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকরা ভিসি ড. সাইফুল ইসলামকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন। তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে বুয়েট ভিসি বলেন, এখন পদত্যাগের বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমি বুয়েট শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবির সঙ্গে একমত। এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আবরার হত্যার প্রায় ৪০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের সামনে আসা ও আবরারের জানাজায় অংশ না নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এরপর এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন।

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পর আন্দোলন ও আলটিমেটামের মুখে শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন বুয়েট ভিসি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close