বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিচালিত করবেন বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) কথা অনুযায়ী ছাত্রলীগ চলবে। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা ছাত্রলীগ নেবে। আমাদের মাধ্যমে যাতে কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখব।’

গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ছাত্রলীগের এই দুই শীর্ষনেতা। এ সময় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের দাবি, ছাত্রলীগের কর্মনির্দেশনা দেবেন শেখ হাসিনা, তিনি আমাদের অভিভাবক।

এ ছাড়া আগামী ১০ মাসের মধ্যে সব ইউনিটে কমিটি করে সুন্দর সম্মেলন উপহার দেওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত এই সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী ১০ মাসের মধ্যে সবগুলো কমিটি তৈরি করে একটি সুন্দর সম্মেলন উপহার দেওয়া।’

এ ছাড়া ছাত্রলীগকে আরো শক্তিশালী করার পাশাপাশি সংগঠনে কোনো টেন্ডারবাজ বা চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দেন এই দুই নেতা। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ২৯তম ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ওই বছরের জুলাইয়ের ৩১ তারিখ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি দেওয়ার ১৪তম মাসের মাথায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের সংবিধান অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব কমিটির ১নং সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় কমিটির ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া আল নাহিয়ান খান জয়ের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরমল্লিক গ্রামে। তিনি ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি অপরাধবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর করছেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া শোভন-রাব্বানী ঘোষিত ছাত্রলীগের ৩০১ জন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১নং সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

অপরদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া লেখক ভট্টাচার্যের বাড়ি যশোর জেলার মনিরামপুরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ছাত্র। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া লেখক এই বিভাগ থেকেই বর্তমানে স্নাতকোত্তর করছেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া শোভন-রাব্বানী ঘোষিত ৩০১ জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

"