হিলি প্রতিনিধি

  ২৬ আগস্ট, ২০১৯

পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে কমছে দাম

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ব্যাপক হারে আমদানি হচ্ছে পেঁয়াজ। সেই সঙ্গে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম।

ঈদের ছুটির পর এই বন্দর দিয়ে আমদানি কমতে থাকায় বাড়তে থাকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। এ সময় ঈদের আগের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল পেঁয়াজের দাম। তবে গত শনিবার দেখা গেছে, বন্দরের আড়তগুলো ভরে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজে। আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে দাম। প্রকারভেদে কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ছুটির পর পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। কয়েক দিনে তুলনামূলকভাবে আমদানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, যে কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।

তিনি আরো জানান, আমরা ভারতে আমদানিকারকদের চাপ দিয়েছি বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ রফতানিতে। তারা বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে এরই মধ্যে রফতানি বাড়িয়েছে। আর এই কারণে বন্দরে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ প্রবেশ করায় দাম কমেছে। আশা করছি, সামনে দাম আরো কমে আসবে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে। আজ বন্দরে সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজটা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি, যে পেঁয়াজ গত বুধবার বিক্রি করেছি ৪৪ টাকা দরে। আর সর্বনিম্ন বিক্রি করছি ২৮ টাকা কেজি দরে, যা আগে বিক্রি করেছিলাম ৩৮ টাকা কেজি দরে। প্রকারভেদে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে।

তিনি আরো জানান, ভারতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের এলসি দেওয়া আছে। সেগুলো বন্দরে প্রবেশ করলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, গত কয়েক দিনের থেকে পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারলে ক্রেতারাও কম দামে কিনতে পারবে। আরো একটু কমলে আমাদের বেচাকেনা ভালো হবে।

হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরে গত সপ্তাহে ৫ কর্মদিবসে ১১২টি ভারতীয় ট্রাকে ২ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গত শনিবার প্রথম কর্মদিবসেই ভারতীয় ৩২ ট্রাকে ৮০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close