বাধার মুখে কাশ্মীরে যেতে পারলেন না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এগারোজন রাজনীতিবিদকে নিয়ে তিনি শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাদের সেখান থেকেই দিল্লিতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। এর আগে সরকারি নিষেধ উপেক্ষা করে রাহুল তার সহযাত্রীদের নিয়ে গতকাল শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর রওনা হওয়ার ঘোষণা দেন। বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর রাজ্যের সবচেয়ে বড় নগরী শ্রীনগরে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং নানা জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক নেতাকে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের কাশ্মীর সফর করা উচিত হবে না বলে এক টুইটে পরামর্শ দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন অধিদফতর। টুইটে বলা হয়, ‘এমন একটা সময় যখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা সন্ত্রাসবাদ এবং হামলা থেকে সুরক্ষার চেষ্টা করছেন তখন রাজনৈতিক নেতাদের শ্রীনগর সফরে যাওয়া উচিত হবে না। কারণ তাতে অন্যান্য লোকজন অসুবিধায় পড়বেন....।’

রাহুলের আগে কংগ্রেস দলের জ্যেষ্ঠ নেতা গুলাম নবী আজাদ দুইবার কাশ্মীর যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। দুইবারই তাকে জম্মু বিমানবন্দরে আটকে দিয়ে জোর করে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তিনি এ চেষ্টা করেছিলেন বলে ?জানায় এনডিটিভি।

রাহুলকে অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্য পাল মালিক গত ১১ আগস্ট পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখতে কাশ্মীর সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন তিনি রাহুলের জন্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া উড়োজাহাজ পাঠাতেও চেয়েছিলেন।

গভর্নরের আমন্ত্রণ পাওয়ার দুই দিন পর রাহুল তা গ্রহণ করেন। কিন্তু ততক্ষণে গভর্নর তার মত বদলে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেন এবং রাহুলের ভ্রমণের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করে বিবৃতি দেন।

গভর্নর মালিক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাহুল গান্ধী তার সঙ্গে বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের আনতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছেন। যা আরো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এখানে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়তে পারেন।’

"