কূটনৈতিক প্রতিবেদক

  ২৩ আগস্ট, ২০১৯

অনাগ্রহের কারণ বিশ্বাসের ঘাটতি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশ্বাসের ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গারা স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে, মিয়ানমার তাদের জন্য এখন নিরাপদ। মিয়ানমার তাদের নিরাপত্তা দেবে বা পুনর্বাসন দেবে তারা তা বিশ্বাস করতে পারছে না। আর এজন্যই তারা ফিরে যেতে অনাগ্রহী। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের এই বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব আছে। সব দেশকে নিয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে। মিয়ানমার যদি সৎ হয় তবে তারা এই কমিশন গঠনে সহায়তা করবে। প্রয়োজনে তারা সাংবাদিকদের নিয়ে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি দেখাবে। যাতে করে এই বিশ্বাসের ঘাটতি দূর হয়। এমনকি রোহিঙ্গাদের যেসব নেতা আছে ক্যাম্পে তাদের নিয়েও একটা সফর করানো যেতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যর্থ কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি। চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকার জন্য প্ররোচনা দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকার জন্য অনেকেই প্ররোচনা দিচ্ছেন। লিফলেট বিতরণ করছেন। ইংরেজিতে প্ল্যাকার্ড লিখে দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশের পক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরও রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারণে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো শুরু হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো শুরু হওয়ার কথা ছিল; সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। তবে সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গারা বলেছেন তারা দেশে ফিরে যাবেন না।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল। রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় তখন কাউকেই রাখাইনে পাঠানো সম্ভব হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close