নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ আগস্ট, ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ বার্তা জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। পরে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ব্রিফিংয়ে প্রেসসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান এবং তার শুভেচ্ছাও মোদির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে কার্যকর সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে, যেহেতু এর খরচও কম। ভারত তাদের ব্যবসা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারে। দুদেশের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রগুলো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রেল, সড়ক এবং আকাশপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক রুট এরই মধ্যে উন্মুক্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার সহযাগিতা বিদ্যমান রয়েছে। দুটি দেশ নিজেদের অনেক সমস্যাই দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করেছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বিশেষ করে দুদেশের মধ্যকার সীমান্ত সমস্যা সমাধানের উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী এর সমাধান বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সব রাজনৈতিক দল তাদের সংসদে সীমান্ত চুক্তি-সংক্রান্ত বিলের প্রতি সর্বসম্মতভাবে সমর্থন জানায়।

ভারতকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই নয়া দিল্লি বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহতভাবে সমর্থন জানিয়ে আসছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে জয়শঙ্কর বলেন, দুদেশের জনগণের মধ্যে পরস্পরের দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রটিকে সহজ করার বিষয়ে বিশ্বাসী ভারত।

জয়শঙ্কর এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহ ব্যক্ত করে বলেন, দুদেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ খাতে কার্যকর সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে, যেহেতু এর খরচও কম।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত রোববার রাতে বাংলাদেশে আসেন। এটাই জয়শঙ্করের প্রথম সফর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close