নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ আগস্ট, ২০১৯

৪ জঙ্গি গ্রেফতার

লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র সংঘাতে উগ্রবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা

গণতান্ত্রিক কাঠামোকে উৎখাত করে উগ্রবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সশস্ত্র সংঘাত ও নাশকতার টার্গেট করেছিল ‘আল্লাহর দল বা আল্লাহর সরকার’ নামে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনটি তাদের সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বা চাকরিচ্যুত সদস্যদের দলে ভেড়ানোর পরিকল্পনা করে। গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান। গত রোববার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকা ইব্রাহিম আহমেদ হিরোসহ (৪৬) চার সদস্যকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটকরা হলেন আবদুল আজিজ (৫০), শফিকুল ইসলাম সুরুজ (৩৮) ও রশিদুল ইসলাম (২৮)।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, জঙ্গি মতিন মেহেদী মমিনুল ইসলাম ওরফে মতিন মাহবুবের নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে ‘আল্লাহর দল’ নামে জঙ্গি সংগঠনটি গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালে শেষের দিকে তিনি সংগঠনটিকে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত করেন। পরে সারা দেশে সিরিজবোমা হামলায়ও সংগঠনটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। পরে জেএমবি নেতৃত্বশূন্য হলে জঙ্গি মতিন মেহেদী জেএমবি ত্যাগ করে তার মূল সংগঠনটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন। মতিন মেহেদী ২০০৭ সালে গ্রেফতার হলেও তাকেই আমির বা তারকা হিসেবে মান্য করে এ জঙ্গি সংগঠনটি নতুন করে পরিচালিত হচ্ছিল।

তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক জঙ্গি সংগঠনের তুলনায় এদের অবকাঠামো বিন্যাস কিছুটা ভিন্ন। গ্রাম পর্যায়ে নায়ক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদ তারকা হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে। এদের অধিনায়ক, উপঅধিনায়ক, অতিরিক্ত অধিনায়ক পদ রয়েছে। তারা সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের সংগঠনে যুক্ত করার চেষ্টা করে আসছিল। সম্প্রতি বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্যদের দলের টানতে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা করছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির ফলে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।

এমরানুল হাসান বলেন, ২০০৪ সালে এ জঙ্গি সংগঠনের আটজন এবং সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা থেকে তিনজন, ঢাকা থেকে চারজন, রংপুর থেকে তিনজনসহ ১৮ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সর্বশেষ আটক চারজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে আরো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলেও জানান র‌্যাবের কর্মকর্তা এমরানুল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close