আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ আগস্ট, ২০১৯

কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৬৩

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় গত শনিবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ১৮২ জন আহত হয়েছেন। আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য সরিয়ে আনার জন্য ওয়াসিংটন ও কাবুলের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের শেষপর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটল। কাবুলের সুন্নি চরমপন্থি গ্রুপ ইসলামিক স্টেট বা আইএস গতকাল রোববার হামলার দায় স্বীকার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে একজন আত্মঘাতী হামলাকারী নিজের শরীরে থাকা বিস্ফোরণ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। শহরের পশ্চিমে শিয়া অধ্যুষিত একটি এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই হামলাকে বর্বরতা বলে উল্লেখ করেছে। সর্বোচ্চ নির্বাহী আবদুল্লাহ একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন। কাবুলে অবস্থিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন বাজ বলেছেন, এই হামলা হলো নৈতিকতার চরম অপরাধ। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে মৃতদেহগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।

আফগানিস্তানে বিয়েতে অনেক অতিথি থাকে ও তারা একটি বড় হলঘরে সমবেত হয়, যেখানে পুরুষদের থেকে নারী ও শিশুরা আলাদা অবস্থানে থাকে।

বিয়েতে আসা একজন অতিথি মোহাম্মদ ফারহাদ বলছেন, পুরুষরা যেখানে অবস্থান করছিল, সেখানে যখন প্রচ- বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, তখন তিনি ছিলেন নারী ও শিশুদের অবস্থানের কাছে।

‘সবাই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে দৌড়ে বেরিয়ে যায়’, তিনি বলছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। ‘প্রায় বিশ মিনিট ধরে পুরো হলরুমটি ছিল ধোঁয়ায় ভর্তি। পুরুষদের প্রায় সবাই হন নিহত কিংবা আহত। ঘটনার দুই ঘণ্টা পরও সেখান থেকে মৃতদেহ নেওয়া হয়।’

বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করা একজন ওয়েটার সৈয়দ আগা শাহ। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সবাই দৌড় শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েটার নিহত বা আহত হয়েছেন। তালেবানদের একজন মুখপাত্র এক হামলার ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছেন।

মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তায় জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের টার্গেট করে এ ধরনের নিষ্ঠুর হত্যাকা-ের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

সর্বশেষ এ হামলার মাত্র দশ দিন আগে কাবুল পুলিশ স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছিল। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল তালেবান।

শুক্রবার তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একজন ভাই পাকিস্তানের কোয়েটার কাছে একটি মসজিদে পেতে রাখা বোমায় নিহত হন। সেই হামলার দায় অবশ্য কেউ স্বীকার করেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close