কলকাতা প্রতিনিধি

  ১৯ আগস্ট, ২০১৯

ভারতের হুশিয়ারি

এবার কথা হবে পাকিস্তানের দখলে থাকা কাশ্মীর নিয়ে

এবার শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলবে ভারত। তাও আবার হবে যদি জঙ্গি মদদ বন্ধ করে পাকিস্তানÑ এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। হরিয়ানার পঞ্চকুলায় এক সভায় কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে পাকিস্তানকে তুলাধোনা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্য ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে। ভারতের প্রতিবেশী

এ নিয়ে দুনিয়ায় বিভিন্ন রাষ্ট্রের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ বলেছে, কাশ্মীর নিয়ে ভুল করেছে ভারত। ভারত বলছে, এবার যদি পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কথা হয়, তাহলে তা হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই। তবে পাকিস্তানকে আগে জঙ্গি মদদ বন্ধ করতে হবে। কার্যত পাকিস্তানকে নিশানা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারত ৩৭০ ধারা বাতিল করল আর প্রতিবেশী দেশ দুর্বল হয়ে গেল, এমন হয় নাকি! পাকিস্তান এখন দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ছোটাছুটি করছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজনাথ সিং। হরিয়ানার পঞ্চকুলার সভায় বিরোধীদেরও আক্রমণ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীরা বলে বেড়াত, বিজেপি ৩৭০ ধারাকে ছুঁতেও পারবে না। কাশ্মীরের এই ধারা যদি বাতিল করে, তাহলে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। ক্ষমতায় এসে মাত্র কয়েক মিনিটেই ৩৭০ বিলোপ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজস্থানের পোখরানে এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ মন্তব্য করেন, এত দিন ভারতের নীতি ছিল, পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার আগে করবে না ভারত। এখনকার পরিস্থিতি সরকারের সেই নীতি বদলও হতে পারে। প্রসঙ্গত, বারেবারেই তার পরমাণু অস্ত্রের কথা বলে ভারতকে তা মনে করিয়ে দেয় পাকিস্তান। বালাকোটে বায়ুসেনার অভিযানের সময়েও পরমাণু অস্ত্রের কথা তুলেছিল পাকিস্তান। সেকথা মাথায় রাখলে পোখরানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতের পরমাণু নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পর পাল্টা আক্রমণে নেমেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বক্তব্য, রাজনাথের মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্ভাগ্যজনক। তার অভিযোগ, নেহরুর রাষ্ট্রনীতি থেকে অনেকটাই সরে এসেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। রাজনাথের বার্তার প্রতিক্রিয়ায় যে পাকিস্তান সরব হবে, তা অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল। কার্যত পাকিস্তানকে মাথায় রেখেই মোদি সরকার এই হুমকি দিয়েছে। পাশাপাশি রাজনাথের এই মন্তব্যের সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর। বলা হচ্ছে, রাজনাথের মন্তব্য আন্তর্জাতিক আঙিনায় ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপ (এনএসজি)-এর মতো অভিজাত পরমাণু ক্লাবে ঢোকার জন্য এক দশক ধরে লাগাতার চেষ্টা করছে ভারত। পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারণবিরোধী চুক্তি বা সিটিবিটিতে সই না করা ভারতের পক্ষে কাজটি এমনিতেই ভাবে কঠিন। সেখানে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের প্রশ্নে ভারত তার ট্র্যাক রেকর্ডকেই বারবার তুলে ধরেছে। কিন্তু এবার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে প্রথম পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে যে ইঙ্গিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তাতে আমেরিকা থেকে চীন প্রত্যেকের কপালেই ভাঁজ পড়তে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close