নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ আগস্ট, ২০১৯

কুশীলবদের বিচার এখন সময়ের দাবি

৪৪ বছরেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের বর্বর হত্যাযজ্ঞের রাজনৈতিক কুশীলবদের চিহ্নিত করা যায়নি। ওই ঘটনায় যে ১২ জনের দন্ড হয়েছে তারা সবাই হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া সেনা কর্মকর্তা। যদিও শুরু থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডকে বিবেচনা করা হয়েছে রাজনৈতিক হত্যা হিসেবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ হত্যাকান্ডের রাজনৈতিক কুশীলবদের খুঁজে বের করতে দ্রুতই কমিশন গঠন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড স্বাধীনতার অর্জনকে পিছিয়ে দেয়, এটা ইতিহাস স্বীকৃত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যাকারী সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের পথ সুগম করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নির্মূল করার প্রক্রিয়াটিতে রাজনৈতিক চক্রও জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের বিচার হয়নি। দন্ডিত হয়েছেন কেবল সামরিক হত্যাকারীরা।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন এখনো বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড পরিচালনায় অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে সরকারকে। তবে বাধা সত্ত্বেও কমিশন গঠন করে কুশীলবদের নাম প্রকাশ করতে সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই।

এমন ঘটনার কুশীলবদের বের করে জাতির সামনে তুলে ধরতে না পারলে তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হবে বলে মনে করেন হত্যাকান্ডে প্রয়াতদের স্বজনরা। তবে এমন ঘটনায় চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগ ১৫ আগস্টের রাজনৈতিক কুশীলবদের বিচারের মুখোমুখি করবে বলে সবাই প্রত্যাশা করেন। ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের কুশীলবদের নাম প্রকাশ না হলে জাতি পুরোপুরি দায়মুক্ত হতে পারবে না বলে মত ইতিহাসবিদদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close