নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ আগস্ট, ২০১৯

হাইকোর্টে মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি কাল

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে আদালত বিস্তারিত শুনানির কথা বলে দিন নির্ধারণ করে।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেজাউল করিম।

পরে আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবেদনটি বিস্তারিত শুনবেন বলে বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রেখেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য বললে আদালত বলেছেন কার্যতালিকায় আসবে।

মঙ্গলবার মিন্নির জামিনের আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকার ৫৩ ক্রমিকে ছিল। এদিন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নারী, অসুস্থতা ছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, এসব যুক্তি তুলে ধরে জামিন আবেদনটি করা হয়। আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারায় তার জামিন পাওয়ার অধিকার আছে। তিনি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার ও আসামি করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন; তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।

সম্প্রতি মিন্নির শ্বশুর তার ছেলের হত্যাকান্ডে পত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে আলোচনা নতুন দিকে মোড় নেয়। গত ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মিন্নিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে পুলিশ জানায়। তবে বরগুনা সরকারি কলেজের এই স্নাতকের ছাত্রী এরই মধ্যে জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে।

তার বাবার অভিযোগ, নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মিন্নিকে ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে’ পুলিশ। এর পেছনে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের হাত আছে বলেও তার দাবি। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিন্নির জামিন আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তার আইনজীবীরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close