নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জুলাই, ২০১৯

ঋণখেলাপিদের ধরতে বিশেষ সেল

১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণ আছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তদারকির মধ্যে আনাসহ ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা কমিয়ে আনতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নানা উদ্যোগ নিয়েও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। এর মূল কারণ বড় ঋণখেলাপিরা বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তাই এবার খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এখন ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণের নিবিড় তদারকি করা হবে। পাশাপাশি সব ব্যাংকে বিশেষ তদারকি সেল গঠন করা হবে। এতে তাদের অবস্থা সহজে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংকগুলো অপরাপর সব শ্রেণিকৃত ঋণসহ ১০০ কোটি টাকা এবং তদূর্ধ্ব স্থিতিবিশিষ্ট শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাবগুলো নিবিড় তদারকি একান্ত আবশ্যক। শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে সব ব্যাংক সংশ্লিষ্ট উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে একটি বিশেষ তদারকি সেল গঠন করবে। যারা ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকি করবে। তদারকি সেল ত্রৈমাসিক বিবরণীতে বর্ণিত শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব আদায় অগ্রগতিসহ যাবতীয় তথ্য নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে জানাবে। এছাড়া ত্রৈমাসিক বিবরণী পরবর্তী মাসের শেষ কর্মদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের টাস্কফোর্স সেলে দাখিল করবে।

এ বিবরণীতে প্রদর্শিত শ্রেণিকৃত ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ কিংবা অন্য কোনো কারণে নিয়মিত বলে গণ্য হলেও নিয়মিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী আটটি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত তা বিবরণীতে রাখতে হবে।

সার্কুলারে আরো বলা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ওই বিবরণীর যথাযথ পর্যালোচনা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে ঋণের বকেয়া আদায়ের নিমিত্তে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পরিচালনা পর্ষদ নিয়মিতভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

আগামী অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে এপ্রিল থেকে জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক পর্যন্ত ওই বিবরণীর হার্ড ও সফট (এক্সএল সিট) কপি দাখিল করতে হবে। আগামী এপ্রিল থেকে জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক থেকে আলোচ্য বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close