প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ জুলাই, ২০১৯

বন্যায় দুর্ভোগ চরমে

সপ্তাহব্যাপী বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কুড়িগ্রামের ধরলা নীলকমল ও বারোমাসিয়ার পানি কমতে শুরু করলেও ভাটিতে নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকছে। অপরদিকে যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ছে, আর গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি অপরিবর্তিত থাকলেও বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ

বগুড়া : বগুড়ার তিন উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ ও দুর্গতি বাড়ছে। সরকারিভাবে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ পৌঁছানো হলেও গবাদিপশুর খাবার সংকট ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দূর হচ্ছে না। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারিয়াকান্দির বাঙালি নদীর পানি বাড়ছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার জেলার তিন উপজেলার আরো নতুন করে আরো ৪টি ইউনিয়নের ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে তিন উপজেলায় মোট ১৯টি ইউনিয়নের ৫৫৪টি গ্রাম প্লাবিত হলো। এতে সাড়ে ৩১ হাজার পরিবারের ১ লাখ ২৪ হাজার ২২০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বানের পানিতে ১৪৫টি বাড়ি ভেসে গেছে।

তিনি জানান, ত্রাণ হিসেবে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৫১ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩০ দশমিক ৫০০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ধুনট উপজেলায় ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খবার ও ৩২২ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ৫ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমির আউশ, ৪০ হেক্টর জমির সবজি, ৯ হেক্টর জমির মরিচ, ৪০ হেক্টর জমির আমনবীজ তলা নিমজ্জিত হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন উপজেলায় ১৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ২৪ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলায় বন্যাকবলিত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান। ইতোমধ্যেই জেলার কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালি সদর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, পৌরসভার আংশিক ও কাজীপুর উপজেলার ৬৭টি গ্রামের ১৩ সহস্রাধিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

গতকাল উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে বানভাসি মানুষের একাংশ যারা ওয়াপদায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে তাদের মাঝে ১ লাখ টাকার গো-খাদ্য ও ছোনগাছা ইউনিয়নের প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এখনো ৪৪৪ টন চাল, ৩ লাখ টাকা ও ৫০০ তাঁবু মজুদ আছে।

বেড়া (পাবনা) : যমুনার ভাঙনের কবলে পড়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা গ্রাম। বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলভবন ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জানান। এ ছাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

এ নিয়ে স্কুলটি তিন-চারবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় পাঠদান বন্ধ আছে পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর সাঁড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। পানিতে ডুবে গেছে ৫৮নং পাইককান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিকে ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে বলে বেড়া পাউবো সূত্রে জানা যায়। ভাঙনকবলিত ৬৩টি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধরলা, বারোমাসিয়া ও নীলকমলসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫ থেকে ২০ হাজার বানভাসি পরিবারে স্বস্তি ফিরলেও দুর্ভোগ কমেনি। ব্যাপক ক্ষতি কাটেনি।

উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৬০০ পুকুর ও জলাশয় তলিয়ে প্রায় ১২০ টন মাছ ভেসে যায়। এতে আনুমানিক ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান উপজেলা মৎস্য দফতর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানিয়েছেন, উপজেলার ২৮০ হেক্টর জমির বীজতলা, ৯০ হেক্টর জমির সবজি, ২৪০ হেক্টর জমির পাটখেত ও ১৯০ হেক্টর জমির আউশ ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। কমতে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্রের পানিও।

ফরিদপুর : মিনিটে মিনিটে গোয়ালন্দ পয়েন্টে বাড়ছে পদ্মার পানি। পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই দিন এই গতিতে পানি বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধরাণ করবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

গোয়ালন্দ পয়েন্টের গেজ রিডার ইদ্রিস আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই পয়েন্টে পদ্মার পানি আরো ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার (৮ দশমিক ৬৫) ৩৪ সেন্টিমিটার (৮ দশমিক ৯৯) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নের কাইমদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে কালুর বাজার থেকে পান্নুর দোকন পর্যন্ত সোয়া কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে পাকা সড়কে এক কিলোমিটার অংশ তলিয়ে গেছে। এছাড়া মনসুরাবাদ এলাকায় মনসুরাবদ মোড় থেকে রিয়াজউদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত ইট বিছানো সড়কটির অর্ধ কিলোমিটার তলিয়ে গেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, পানি বৃদ্দি পাওয়ায় নদীভাঙনের শিকার হযেছে সদরপুর উপজেলার ৪৫টি এবং ভাঙ্গা উপজেলার ১৪টি পরিবার। তাদের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

শেরপুর : শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। সদর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙা অংশ দিয়ে বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবেশ করে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে এক মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে শেরপুর-জামালপুর সড়কের নন্দীরবাজার পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রায় দুই ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি দ্রুতবেগে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও যে কোনো সময় শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এদিকে ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : জামালপুরের মাদারকগঞ্জে বন্যা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। স্রোতে উপজেলার নাদাগাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৬০ মিটার ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরো ৩০টি গ্রাম। এতে উপজেলার ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুর্গত এলাকাগুলোতে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় ৭৫ মেট্রিক টন চাল, ২০ হাজার টাকা, খিচুড়ি, শুকনো খাবার, গুড়, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, চিড়া, ম্যাচ এবং মোমবাতি বিতরণ করা হয়েছে। তবে এসব ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা দুর্গতরা।

কুড়িগ্রাম : ঘরে চাল আছে কিন্তু রান্না করার মতো কোনো শুকনো স্থান নেই, ঘরের ভেতর কোমড় পর্যন্ত পানি। কোথাওবা সেই পানি ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই। জীবন বাঁচাতে যারা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন, সামান্য চাল রান্না করলেও টাকার অভাবে মিলছে না তরকারি। এ চিত্র এখন কুড়িগ্রামের ৪ শতাধিক চরাঞ্চলসহ জেলার ৫৬ ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক পরিবারের। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ২ হাজার প্যাকেট!

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৯ উপজেলার বন্যাকবলিত ৫৬টি ইউনিয়নের ৪৯৮টি গ্রামের সোয়া ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আর এসব পানিবন্দি মানুষের জন্য বুধবার পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০০ মেট্রিক টন টাল ও ৯ লাখ টাকা।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল। ব্রহ্মপুত্রের পানি এ সময় বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে বন্যা পরিস্থিতির ওপর এক প্রেস বিফ্রিং করা হয়। প্রেস বিফ্রিংয়ে জানানো হয়, বন্যার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সাদুল্যাপুর ও সদর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৩৭টি ইউনিয়নের ২৫৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৩৪০টি। ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮ জন। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ৩৯ হাজার ১৪২টি। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৬৬টি। এতে ৭১ হাজার ২৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০৯টি। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ৯ হাজার ৮২১ হেক্টর। এছাড়া ২ হাজার ৯৪১টি পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল ও ৯ লাখ টাকা এবং ৩ হাজার ৫৫০ কার্টুন শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। প্রেস বিফ্রিংয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবির ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্রেট জেবুন নাহার। এদিকে রেললাইনে পানি উঠায় বুধবার থেকে লালমনিরহাট-সান্তাহার ডিভিশনে সরাসরি ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close