নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ জুলাই, ২০১৯

মশা নিধনে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মশা নিধনে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনায় বলা আছে, মশা নিধনে এমন ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না, যা মানবদেহের ক্ষতি করে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় মশা নিধন সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই দেশব্যাপী এ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা জানান। এ সময় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব উপস্থিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার ডিসি সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৫ থেকে ৩১ জুলাই সারা দেশে মশক নিধন সপ্তাহ পালন করা হবে। এ ছাড়া মশার ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চলছে। আমি ইচ্ছা করলে এমন কোনো ওষুধ দিতে পারি না, যেটা মশা মারতে গিয়ে মানুষের ক্ষতি হয়। তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের ওষুধের অনুমতি নিতে হয়। তারা যেটার অনুমোদন দেয় আমরা সেটা ব্যবহার করি।

তিনি বলেন, এছাড়া ওষুধ ভেজাল রোধে গত মঙ্গলবার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সিটি করপোরেশন যে ওষুধ ব্যবহার করছে, তার মানে কোনো ত্রুটি আছে কিনাÑ তা আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে পৌরসভা ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য তাদের আয় বাড়াতে হবে। তারপর তারা ব্যয় করবেন। এ উদ্দেশেই পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। এখন যারা এ কাজ করতে পারবেন না বা ব্যয় নির্বাহ করতে পারবেন না, তারা ঢাকায় এসে আন্দোলন করবেনÑ এটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নয়। যদি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের সক্ষম করতে না পারেন তাহলে এটি ভবিষ্যতে অস্তিত্ব¡ সংকটে পড়বে। এমনকি আন্দোলনকারীদের ওইখানে গিয়ে একাত্মতা প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। তাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে, বিষয়টি মানবিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, যদি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপৎকালীন কোনো সহায়তার প্রয়োজন হয়, সেটা খতিয়ে দেখে তার আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে পৌরসভাগুলো নিজেদের অর্থায়নে চলে, এখানেও তাই করতে হবে, এটাই নিয়ম। ডিসিদের নির্দেশনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া আছে, তা সঠিকভাবে পালন করার জন্য সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন। সেজন্য আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দারিদ্র্যবিমোচন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করা এবং তাদের বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখাশোনা করা। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতগুলোকে কার্যকর করতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যোগ করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরো বলেন, রাস্তাঘাটের মান বাড়ানোসহ গ্রামের অর্থনীতির উন্নয়নে যেসব বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যেমন, কৃষি খাতের পরিবর্তন, সুপেয় পানি সরবরাহ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামকে শহরে রূপান্তর করার যে অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করা। একই সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সড়ক নির্মাণে যানবাহনের ওভারলোড বিবেচনা করা হচ্ছে।

পাঁচ দিনের ডিসি সম্মেলন গত রোববার শুরু হয়েছে। এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে মোট ৩৩৩টি প্রস্তাব দিয়েছেন ডিসিরা। তাদের প্রস্তাবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর করণীয় কীÑ সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close