শাহজাহান সাজু

  ১৭ জুলাই, ২০১৯

অর্থ পাচার প্রতিরোধে সন্তোষজনক উন্নতি

ঢাকায় এপিজি প্রতিনিধিদের বৈঠক

বিদেশে অর্থ পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের অবস্থান আগের তুলনায় ভালো। এ-সংক্রান্ত কোনো সূচকে অবনতি নেই। এ বিষয়ে সন্তোষজনক উন্নতি হয়েছে। সম্প্রতি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিল অর্থ পাচার প্রতিরোধে মানদন্ড নির্ধারণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এপিজির প্রতিনিধিদল। ওই সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পৌনে দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে অর্থ পাচার প্রতিরোধে নেওয়া কৌশলপত্র তুলে ধরা হয়। ওই কৌশলপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে বাংলাদেশ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) প্রতিনিধিদলটি।

বৈঠক সূত্র জানায়, অর্থ পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতীয় কৌশলপত্র (২০১৯-২০২১) প্রণয়ন করেছে। এপিজির প্রতিনিধিদের সামনে ওই কৌশলপত্র তুলে ধরা হয়। বলা হয়, অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আইন-২০১২-এর আওতায় কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক সেল গঠন করা হয়েছে। এই সেলটি থেকে বহির্বিশ্বে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। ২০১৫-১৬ সালে বাংলাদেশের মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে যে অ্যাকশনপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার অগ্রগতি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে প্রতিনিধিদলটি।

সূত্র জানায়, আগামী বছর এপিজির পরবর্তী বার্ষিক সম্মেলন বাংলাদেশে হবে। বাংলাদেশ হবে বৈঠকের কো-চেয়ার। তাই এর প্রস্তুতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদলটি অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি, অভ্যন্তরীণ সমন্বয়, ফলোআপ অ্যাসেসমেন্ট ও মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ইমপ্লিমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি) অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে। আগামী বছর এপিজির বৈঠকে এ রিপোর্ট তুলে ধরা হবে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে কোম্পানি আইন সংশোধনের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, এটি বিএফআইইউ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আইনটি সংশোধনের ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে সংশোধিত আইনের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। বৈঠকে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং এ-সংক্রান্ত অপরাধসংশ্লিষ্ট মামলা প্রসঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়। যেসব মামলা তদন্তাধীন আছে; সেগুলো জরুরিভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া আমদানি ও রফতানির অন্তরালে বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ করতে সব বন্দরে স্ক্যানার স্থাপন করা হচ্ছে বলে এপিজি প্রতিনিধিদের জানানো হয়।

জানা যায়, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপের ভিত্তিতে তিন বছর পর পর একটি দেশের ওপর মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি করে এপিজি। এর আগে বাংলাদেশকে ২০১৬ সালে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে মূল্যায়নের জন্য এপিজির প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় আসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close