নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ জুলাই, ২০১৯

দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা

ফের দুধে মিলল অ্যান্টিবায়োটিক

বাজারে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির দুধের নমুনা দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করে আবারও অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। এছাড়া তিনি এ গবেষণা নিয়ে কোনো চক্রান্ত না খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের এ অধ্যাপক গত ২৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানানোর পর শুরু হয় আলোচনা।

তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিপন্ন বোধ করছেন এই অধ্যাপক। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বাসভবনে অধ্যাপক ফারুক তার বিষণœতার কথা গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন, ‘দুধের মান বিষয়ক জরিপের ফল নিয়ে কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও কোম্পানি মালিক যে ভাষা আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন তাতে আমি বিপন্ন।’

তবে তাদের ওই গবেষণার সঙ্গে বিভাগের সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান। পরে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর তাদের ওই গবেষণা নিয়েই প্রশ্ন তোলে। সরকারি কর্মকর্তাদের পাশে রেখে সংবাদ সম্মেলনে দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, ওই গবেষণা দেশের দুগ্ধ শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও বাজার থেকে ১০টি নমুনা নিয়ে ১০টিতেই অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার কথা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ফারুক।

তিনি বলেন, ‘আমরা একই গবেষক দল একই জায়গা থেকে একই কোম্পানির নমুনা সংগ্রহ করে একই যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করেছি। ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক ছিল। পার্থক্য শুধু প্রথম দফায় পাওয়া গিয়েছিল তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক, এবার চারটি।’ গত ২ জুলাই থেকে তারা এই দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা চালান বলে জানান তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত সপ্তাহে আমরা এই পরীক্ষাটি পুনরায় সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও পূর্বোক্ত ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনা অর্থাৎ সর্বমোট ১০টি নতুন নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।

‘এর ফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সব নমুনাতেই অ্যান্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল ৪টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে আগের বারে ছিল না এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)।

এতে বলা হয়, ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে চারটি, ছয়টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তিনটি এবং ১টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দুটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘আমরা ভবিষ্যতেও এই পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টা করব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close