ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ জুন, ২০১৯

সুনীল জোশীর হুঙ্কার

‘ভারতের পরীক্ষা নেবে আমাদের স্পিনাররা’

আফগানিস্তানকে হারানোর রাতেই সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রাখেন তারা। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সুরেই এবার সুর মেলালেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল জোশী। তার ভাষ্য, ‘ভারত শক্তিশালী দল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই। তবে চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে ধরনের ক্রিকেট খেলছে, তাতে ভারতকে হারানো মোটেও অসম্ভব নয়।’

২ জুলাই বার্মিংহামের এজবাস্টনে সেমি-স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টিম ইন্ডিয়ার সামনে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আপাতত সেই ম্যাচকে ঘিরেই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন বিরাট কোহালি-হার্দিক পান্ডিয়ারা। তবে ২ জুলাইয়ের আগে বাংলাদেশের আর কোনো ম্যাচ নেই। আর তাই বাংলার বাঘেদের শিরা ও ধমনিতে এখন শুধু ভারত ম্যাচ।

এই ম্যাচ নিয়ে জোশী শোনালেন আশার বাণী, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা যে ভালো দল, তা এরই মধ্যে প্রমাণ করেছি। আয়ারল্যান্ডে আমরা শিরোপা জিতেছি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও তাদের হারিয়েছি। গত তিন বছরে তিনবার আমরা ভারতকে হারানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম।’

জোশী অবশ্য ভুল কিছুই বলেননি। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, ক্রিকেটের ময়দানে ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান এখন নখ-দাঁত হারিয়ে ফেলেছে। ভারতের সামনে দেখা হলেই মুখ থুবড়ে পড়ছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেখানে জীবন বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে টাইগারদের মনোবল এতটা চাঙা হয়েছে ২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের পর। ওই ম্যাচের দুই অনফিল্ড আম্পায়ার ইয়ান গুল্ড ও আলিম দারের সহযোগিতায় অনেকটা জোচ্চুরি করেই বাংলাদেশকে হারিয়েছে ভারত।

ওই ম্যাচের পর ভারতীয়দের ওপর চাপা ক্ষোভ পুষে রেখেছিল বাংলাদেশিরা। জবাব দিতে মুখিয়ে ছিল তারা। সুযোগটা এসেছে ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে। ওই সময় বাংলাদেশ সফরে এসে স্বাগতিকদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়েছে ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। তবে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হার মানে ভারতের কাছে। গত বছর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুবাইয়ে। সেখানেও রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। এর আগে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলিদের বিপক্ষে জিততে জিততে হার মানে বাংলাদেশ। আর ২০১৮ সালে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে দিনেশ কার্তিকের ঝড়ে বাংলাদেশের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় ভারত। গত চার বছরে সব কটি ম্যাচেই সিমারদের পাশাপাশি টাইগার স্পিনাররাও ভারতের বিশ্বখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপের পরীক্ষা নিয়েছেন।

বাংলাদেশের সুপারম্যান সাকিব এখন দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছিটাচ্ছেন। বল হাতেও তুলে নিচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ জোশীর দাবি, ‘ভারতের মতোই আমাদের দলে ভালো মানের স্পিনার রয়েছে। তা ছাড়া প্রতিটি দলেরই কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে। খুব কাছ থেকে এই ভারতীয় দলকে দেখেছি। ওদের বিরুদ্ধে খেলেছি। বিরাটদের বিরুদ্ধে কোথায় বল রখতে হবে, তা আমরা জানি।’

স্বদেশের বিরুদ্ধে সুনীল জোশীর এই গর্জনে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বল গড়ানোর আগেই কিন্তু উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close