নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০১৯

২ জুলাইয়ের মধ্যে ধ্বংস করা হবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করতে হাইকোর্ট গত ১৮ জুন নির্দেশ দেওয়ার পর তা বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে ফার্মেসি এবং ওষুধ কোম্পানিগুলো। গতকাল রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সভাকক্ষে সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি, ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি, আমদানিকারক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রতিনিধিরাসহ র‌্যাবের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করে তা নিজস্ব ব্যবস্থায় এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে ধ্বংস করবে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর তাদের রাজি করানো গেছে। এছাড়া আরো জানা যায়, ওষুধ ধ্বংস করার পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে তা রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি চিঠি অধিদফতরের পক্ষ থেকে সব স্টেক হোল্ডারকে পাঠানো হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, বৈঠকে সবাই সম্মত হয়েছেন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করার ব্যাপারে। এক্ষেত্রে ফার্মেসি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি উভয়েই একে অপরকে সহযোগিতা করবে। কাজটি শেষ করে অধিদফতরে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ধরনের ওষুধ বিক্রিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং মজুদ ও বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৮ জুন রুলসহ এই আদেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে বিবাদীদের ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close