কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ২৪ জুন, ২০১৯

বাড়ছে উদ্বেগ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ৯২ শিশু

রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছেই। সংখ্যার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নতুন অনিশ্চয়তা। উখিয়া উপজেলার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনই ঘরে ঘরে জন্ম নিচ্ছে নতুন মুখ। যা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি আর সমাজের জন্য উদ্বেগের কারণ। একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সদস্য ১০ সন্তানের জননী রশিদা বেগম মনে করেন, পরিবার যত বড় হবে, সেইসঙ্গে বাড়বে আয়-উপার্জন এমন ধারণায় ৪২ বছর বয়সের এই নারী প্রতি আড়াই বছর পরপরই জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন একটি করে সন্তান।

রশিদার মতো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বেশির ভাগ রোহিঙ্গা নারীর চিত্র একই। নাগরিকত্ব, এমনকি জীবনের নিশ্চয়তা না থাকলেও ২০১৭ সালে এদেশে আসা বেশির ভাগ দম্পতিই এরই মধ্যে হয়েছেন এক সন্তানের বাবা-মা। অনেকেই আছেন হবার অপেক্ষায়। জন্ম নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, সন্তান জন্মদানকে এখনো নিজেদের অর্জন হিসেবেই দেখেন শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা এই জনগোষ্ঠী। জাতিসংঘ শরণার্থী কমিশন, ইউএনএইচসিআরের

হিসাবে, টেকনাফ ও উখিয়া এই দুই উপজেলার ৩৪টি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রতিদিন গড়ে জন্ম নিচ্ছে ৯২টি শিশু। এই হারে প্রতি মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন মুখ যোগ হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত এ ক্যাম্পগুলোতে জন্ম নিয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি শিশু। আগামী ১০ মাসের মধ্যে জন্ম নেওয়ার অপেক্ষায় আছে আরো প্রায় ৩০ হাজার শিশু। অসচেতন এই জনগোষ্ঠীর জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঠেকাতে কাজ করছে স্থানীয়ভাবে কাজ করা এনজিওগুলো।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করা এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের চিকিৎসক ডা. রাফি আবুল হাসনাত গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তাদের বেশি সন্তানের কুফল, পরিবার পরিকল্পনা, বেশি বেশি গর্ভবতী হওয়ার কুফল সম্পর্কেই বেশি সচেতন করে থাকি। এতে তারাও আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে এবং তারা নিজ উদ্যোগের এসেই এখন পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে। এত কিছুর পরও অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে বিচলিত না হওয়া এ জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close