বদরুল আলম মজুমদার

  ২০ জুন, ২০১৯

খালেদা জিয়ার মুক্তির আশা দেখছে বিএনপি

নতুন করে আইনি বাধা তৈরি না হলে এবং দুই মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন ১৬ মাস ধরে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এমন আশার কথা এখন বিএনপি নেতাদের মুখে। তারা আশা করছেন, আগামী দুই এক মাসের মাথায় জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এদিকে বিএনপি সংসদে যাওয়ায় এবং নিয়মতান্ত্রিক পথে রাজনীতি করার কারণে সরকারও খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা দেবে না বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। আর সরকারি দলের নেতারাও বলছেন, আইন-আদালতের বিষয়ে সরকার বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, চলতি মাসের শেষে জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত ওই দুটি মামলায় পর্যায়ক্রমে জামিন শুনানি হবে। আইনি প্রক্রিয়া যথানিয়মে চললে দুই মাসের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, জিয়া চ্যারিটেবল মামলাটি হাইকোর্ট ডিভিশনে রয়েছে। ৩০ জুনের পরে এই মামলার শুনানি হবে। আদালত সময় বেঁধে দিয়ে এই মামলার নথি তলব করেছিলেন আর ১২ দিন পরেই সেই সময় শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এর মধ্যে নথি আসুক আর না-ই আসুক, তারা জামিন শুনানি করবেন।

মওদুদ আহমদ জানান, গতকালই তারা জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় জামিন শুনানির জন্য পিটিশন দিয়েছিলেন কিন্তু আদালত তাদের বলেছেন, নথি চেয়ে যে আদেশ আদালত দিয়েছেন তার সময় প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এরপরই শুনানি হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। কারাগারে যাওয়ার মাস খানেকের মাথায় এই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলা মুক্তির পথে বাধ সাধে। একটি মামলায় জামিন পেলে আরেকটি মামলা সামনে এসে দাঁড়ায়। এভাবেই কেটে গেছে কারাবন্দির ১৬টি মাস।

আইনজীবীরা জানান, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা রয়েছে। দুটি মামলা ছাড়া এখন সব মামলায়ই তিনি জামিনে রয়েছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মওদুদ আহমদ আরো জানিয়েছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি আপিল বিভাগে রয়েছে। এই মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন কিন্তু আদালত তার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। ৩০ জুনের পর জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় তার জামিন শুনানি হবে। এটি শেষ হলে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন চাওয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো জটিলতা সৃষ্টি করা না হলে আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাবেন বেগম জিয়া।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, খালেদা জিয়া যে মামলায় তিনি কারাবন্দি রয়েছেন, সেই মামলায় তিনি এক মাসের মাথায়ই জামিন পেয়েছিলেন। অর্থাৎ তখনই তার মুক্তি পাওয়ার কথা, কিন্তু সরকারই তাকে একটির পর একটি মামলায় জড়িয়ে মুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close