লালমনিরহাট প্রতিনিধি

  ১৮ জুন, ২০১৯

জমি নিয়ে বিরোধ

লালমনিরহাটে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশু নিহত, আটক ৬

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবেরকুটি বনগ্রামে গতকাল সোমবার জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে লাকী আক্তার (১৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এতে নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। লাকী আক্তার বনগ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয় নজরুল ইসলাম ও কদম আলীর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৮ বিঘা জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। কিছুদিন আগে আদালতের মাধ্যমে জমির মালিকানা বুঝে পান কদম আলী। কিন্তু নজরুল ইসলাম জমির দখল ছাড়েনি। কদম আলীর ছেলে, ভাতিজা ও নাতিরা জমিতে ঘর তুলতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে লাকী আক্তার নামে এক শিশু নিহত হয়। কদম আলীসহ তার পরিবারের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা করা হবে।’

এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন বনগ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে আবু বক্কর (৪৫), মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে নুর আলম (৪৫), নুর আলমের ছেলে সোহেল রানা (২২), মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে কদম আলী (৭০) ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (২২) ও সুমন আলী (২৪)। আহতদের মধ্যে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন লাকী আক্তারের বাবা নজরুল ইসলাম (৪৫), তার দাদি চন্দ্র বানু (৫৯), শারীরিক প্রতিবন্ধী ফুফু সুমর্থ বানু (৩৮) এবং কদম আলীর দুই ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও শুকুর আলী (৪০)।

চিকিৎসাধীন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় কদম আলীর ছেলে শুকুর আলী ও তার পক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন লোক আমার দখলে থাকা জমিতে ঘর তুলতে আসে। আমি বাধা দিই। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারা আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করে। আমার মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে হাসপাতালে জ্ঞান ফিরলে জানতে পারি আমার মেয়ে লাকী বেঁচে নাই।’

এ বিষয়ে কদম আলী বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ লোক, মারামারির ঘটনাস্থলে যাইনি। ছেলে, নাতি ও ভাতিজারা ছিল। সেখানে কীভাবে কী ঘটেছে তা জানি না। কিন্তু ১০ থেকে ১২ বছর ধরে আমার ১৮ বিঘা জমি দখল করে রেখেছে নজরুল ইসলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close