বগুড়া প্রতিনিধি

  ২৭ মে, ২০১৯

বগুড়ায় ভিপি নুরের ওপর হামলা আহত ১৩

বগুড়ায় ‘ছাত্রলীগের’ হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকাল ৫টার দিকে শহরের উডবার্ন সরকারি গণগ্রন্থাগারের সামনে এ হামলা চালানো হয়। ভিপি নুর ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা বগুড়ায় এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে নুরসহ চারজন বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকরা তাদের ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও নিরাপত্তার কারণে তারা হাসপাতাল ছেড়ে ঢাকায় রওনা দেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, নুরুল হক নুর কোটা আন্দোলনে জড়িত শিবির কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করার চেষ্টা করছিল বলে সাধারণ ছাত্ররা তাদের বাধা দিয়েছে। এতে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বগুড়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব গণমাধ্যমকে জানান, তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার বিকালে শহরের উডবার্ন সরকারি গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ডাকসুর ভিপি নুরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি করা হয়। ওই মিলনায়তনের পাশে শহীদ টিটু মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি দুটি স্থানে দুটি সংগঠনের কর্মসূচির কারণে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের কর্মসূচি স্থগিতের জন্য বলা হয়।

রাকিব বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার বলার পর আমরা প্রোগ্রাম চাচ্ছিলাম না। ভিপি নুরসহ ঢাকা থেকে যারা আসছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা বসেছিলাম। কিন্তু তারা আসার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রোকাইয়া আক্তার অ্যানি বলেন, ভিপি নুর, রাতুল, আপন ও ফারুক নামে চারজন চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে নুরের মুখ, কপাল ও পায়ে; আপনের ঘাড়ে; রাতুলের পায়ে এবং ফারুকের শরীরের একাধিক স্থানে জখম ছিল। আমরা ওই চারজনকে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ভর্তি না হয়েই চলে যান।

যোগাযোগ করা হলে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান জানান, নিরাপত্তার অভাবে তারা হাসপাতাল ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সন্ধ্যা ৭টায় ভিপি নুরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে রুবেল নামে তার এক বন্ধু বলেন, আমরা এখন ঢাকার পথে।’

সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ জানান, তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইফতার মাহফিলে যাওয়ার জন্য উডবার্ন সরকারি গণগ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে আসার সময় হট্টগোল শুনতে পান। পরে দেখেন কারা যেন নুরকে মেরেছে। তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের স্থানীয় নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব আমাদের কাছে তাদের প্রোগ্রামের অনুমতি চেয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল অনুমতি দেয় ডিএসবি। কিন্তু যতদূর জানা গেছে ডিএসবিও তাদের অনুমতি দেয়নি। তারপরও তারা এখানে প্রোগ্রামের আয়োজন করেছিল। তবে আমরা আসার আগেই শুনি ভিপি নুরসহ কয়েকজনের ওপর হামলা হয়েছে এবং তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close