প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৫ মে, ২০১৯

প্রাথমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ

দুই জেলায় আটক ৩৭

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উত্তরপত্র লিখে দেওয়ার সময় ২৯ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া পাবনায় পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট :

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় আটকদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা ছিল পাঁচজন। এ ছাড়া ১৬ জন পরীক্ষার্থী ও আটজন অভিভাবক রয়েছেন। জড়িত প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাকি আট অভিভাবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতারা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালি গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম (৩৯), সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জাপাঘাট গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জনতা ব্যাংক পাটকেলঘাটার সেনেরগাতি শাখার পরিচালক আফতাবুজ্জামান (৩৫), একই গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে প্রাইমারি শিক্ষক আমিরুল ইসলাম (৩৫), আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংকের অফিসার মনিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই উপজেলার কাকবাসিয়া গ্রামের রইচউদ্দীনের ছেলে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান প্রশিক্ষক তরিকুল ইসলাম (৩৬)। পরীক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার।

শুক্রবার বেলা ২টায় র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ, পিএসসি সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, গোপনে সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের পাঁচ হোতা ও ১৬ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আট অভিভাবক রয়েছেন। ঢাকা থেকে প্রশ্নপত্রটি এনে সাতক্ষীরায় পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। প্রশ্ন নেওয়ার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থী ১০-১২ লাখ টাকা করে চুক্তিবদ্ধ হয়। প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িতদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রত্যেককে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, কুষ্টিয়ার আব্দুল আলীম ঢাকা থেকে প্রশ্নপত্রটি নিয়ে সাতক্ষীরায় আসে। তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নপত্র ও অনুষ্ঠিত হওয়া পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে যায়।

পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আটকের বিষয়ে পাবনার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা শহরের শুভ ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে চারজন বহিরাগত যুবককে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ডিভাইস ও দুটি চাকুসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

পুলিশি অভিযানে আটকরা হলেনÑ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে শাকিব উদ্দিন, তেথুলিয়া গ্রামের জাকির হোসেন লেবুর ছেলে আব্দুস সোবাহান, চাটমোহর উপজেলার আটলংকা নতুন গ্রামের আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সানাউল্লাহ সানি।

অপরদিকে পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে চার পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। পাবনা জেলার ৬২টি কেন্দ্রে মোট ৫১ হাজার ২৩১ জন পরীক্ষার্থী সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close