নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ মে, ২০১৯

ভূমধ্য সাগরে নৌকাডুবি

পাচার চক্রের হোতা ‘নোয়াখালীর ৩ ভাই’

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্য সাগরে নৌকাডুবির শিকার বাংলাদেশিরা যে মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন, তার হোতাসহ পাঁচজনের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন গতকাল বুধবার তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে তিউনিসিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মকর্তারা এ তথ্য পেয়েছেন। ‘জানা গেছে, নোয়াখালীর তিন ভাই এই চক্রের হোতা। মাদারীপুরের আছে আরো দুজন। তদের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’

সন্দেহভাজন ওই মানব পাচারকারীদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তবে এই ব্রিফিংয়ে ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা তিনি প্রকাশ করেন, যাদের কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি। সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি নৌকায় রওনা হয়েছিলেন দেড় শতাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি মিসরের নাগরিক ছিলেন।

এর মধ্যে ৫০ জন আরোহী নিয়ে একটি নৌকা তীরে ভিড়তে পারলেও শুক্রবার ভোররাতে তিউনিসিয়া উপকূলে অন্য নৌকার যাত্রীদের ছোট একটি নৌকায় তোলার পর যাত্রীর ভারে তা ডুবে যায়। তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় নৌকাডুবির ঘটনার পর প্রতিবেশী লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে তিউনিসিয়ায় পাঠানো হয়। এ এস এম আশরাফুল ইসলাম নামের ওই কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, নৌকাডুবির পর যে বাংলাদেশিরা এখনো নিখোঁজ, তাদের লাশ উদ্ধারের সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়ার উত্তম কুমার নামে একজনকে শনাক্ত করার কথা জানান আশরাফুল।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই একজনের বাইরে ৩৯ বাংলাদেশির নামপরিচয় তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের। নৌকার আরোহীদের মধ্যে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ বাংলাদেশির নামপরিচয়ও প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন আছেন তিউনিসিয়ার হাসপাতালে। বাকি ১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close