মাহমুদ আহমদ

  ১৪ মে, ২০১৯

রহমতের পানীয় পানে মুছে যাক সব পাপ

আলহামদুলিল্লাহ। পবিত্র মাহে রমজানের ৮ম দিনের রোজা রাখার সৌভাগ্য আল্লাহপাক আমাদের দান করেছেন। রমজানের এই দিনগুলোতে আমরা চেষ্টা করছি সব ধরনের পাপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে। আমাদের উচিত হবে রমজান চলে যাওয়ার পরও যেন সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকি। অনেক সময় ছোটোখাটো পাপ কাজকে আমরা গুরুত্ব দেই না। ছোট বা বড় সব ধরনের পাপ ইসলামে নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এবং তোমরা তোমাদের পাপগুলো এই কারণে গোপন করতে না যে, পরকালে তোমাদের কর্ণ, তোমাদের চক্ষু এবং তোমাদের চর্ম তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে বরং তোমরা ধারণা করিতে যে, আল্লাহ তোমাদের অনেক কার্যকলাপ সম্বন্ধে অবগত নন যা তোমরা করছ।’ (সুরা হামিম আস সাজদা, আয়াত : ২২)।

হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, বায়তুল্লাহ্র কাছে দুজন কোরায়শি এবং একজন সাকাফি অথবা দুজন সাকাফি ও একজন কোরায়শি বসেছিলেন। তাদের পেটের চর্বি ছিল খুব বেশি। কিন্তু অন্তরে বুদ্ধি ছিল খুব কম। তাদের একজন বলল, তুমি কি মনে কর আমরা যা বলছি আল্লাহ তা শুনছেন? অপরজন বলল, আমরা জোরে বললে তিনি শুনতে পান, আর চুপে চুপে বললে শুনতে পান না। অপরজন বলল, জোরে জোরে বললে যদি শুনতে পান তবে চুপে চুপে বললেও শুনতে পাবেন। তখন আল্লাহ তায়ালা নাজিল করলেন, তোমরা দুনিয়ার অপরাধ করার সময় যখন লুকাতে, তখন তোমাদের এ চিন্তা ছিল না যে, তোমাদের চোখ, কান, চামড়া তোমাদেরই বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, বরং তোমরা ধারণা করছিলে যে, তোমরা যা জান এর অনেক কিছুই আল্লাহ জানেন না’ (বোখারি)। মূলত যারা পাপ কাজ করবে তাদের অঙ্গ-প্রতঙ্গই বিচার দিবসে সাক্ষ্য দেবে যে তারা কি করেছে। আর মহান আল্লাহ তায়ালা সবই দেখেন ও জানেন। সে দিন পাপীদের অপকর্মের ছবি তাদের চোখে মুখেই ফুটে উঠবে, তারা ওইসব পাপ কর্ম করেছে কি করেনি, এ রূপ প্রশ্নের কোনোই প্রয়োজন হবে না।

মানুষ আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, এ কারণে আমাদের এমনভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে আমাদের দ্বারা যেন কোনো ধরনের পাপ কাজ সংঘটিত না হয়। যেহেতু পবিত্র রমজান মাস অতিবাহিত করছি, তাই আসুন নিজের সব পাপের জন্য ক্ষমা চেয়ে রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের আধ্যাত্মিক পানীয় পানে সিক্ত হই।

লেখক : ইসলামী গবেষক ও কলামিস্ট

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close