নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মে, ২০১৯

পুরোদমে চলছে খুলনা-মোংলা রেলপথের কাজ

দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রেলপথটি চালু হলে মোংলা বন্দর থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য সরাসরি পরিবহন করা যাবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ফলে আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে বাংলাদেশ। ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হবে রেলপথটি।

সমুদ্রবন্দর মোংলার পণ্য পরিবহনে নেই কোনো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই রেল প্রকল্প উন্নয়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে খুলনা-মোংলা রেলপথ। এ প্রকল্পের অধীনে লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, ৫ কিলোমিটার রেলসেতু, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। রেললাইনের খুলনা অংশে ফুলতলা থেকে রূপসা নদীর পশ্চিম পাড় পর্যন্ত রাস্তার প্রস্তুতির কাজ শেষ হয়েছে।

চলতি মাসে রূপসা নদীতে রেলসেতুর পিলার বসানোর জন্য পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানান নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে লার্সন ট্রুবো লি. এর চিফ সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার শ্রীদেব সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ মাসের মধ্যে নদীতে পাইল বসানোর কাজ শুরু হবে, ২০২০ সালের শেষের দিকে কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।’

রেললাইন নির্মাণে কিছু জটিলতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকল্প কর্মকর্তা আবদুর রহিমের। তিনি বলেন, ‘রূপসা নদীর মাটি নিয়ে কিছু সমস্যা থাকায় পাইল বসাতে দেরি হয়েছে। তবে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া বাগেরহাট অংশে জমি পেতে দেরি হচ্ছে। তাই সেখানে কিছুটা দেরি হচ্ছে।’

এদিকে খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের অগ্রগতিতে আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী বলেন, ‘এটা হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অনেক উপকার হবে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হবে। যা আমাদের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।’

প্রসঙ্গত, ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করছে ভারতের লার্সন ট্রুবো লিমিটেড।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close