কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১৭ এপ্রিল, ২০১৯

সংঘাতে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে বসবাস করে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। আর জেলার দুই উপজেলা মিলে স্থানীয়রা বসবাস করেন ৫ লাখের মতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সহিংস হয়ে উঠছে বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গারা। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বাড়ছে সংঘাতের ঘটনা। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ, খুনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের। তাদের দাবি, প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতেই এসব অপরাধ ঘটানো হচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, ক্যাম্পের ভেতর ভাড়া ও চাঁদা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে।

সম্প্রতি উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের একটি ব্লকে রোহিঙ্গারা জার্মানির তিন সাংবাদিকসহ এক স্থানীয়কে মারধর করে। এখন নিয়মিতই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। তুচ্ছ ঘটনায় হামলা, সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, খুন এখন যেন নিত্য ব্যাপার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দেড় বছরে নানা ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩২ জন মারা গেছেন। মোট ৩১২টি ঘটনায় আসামি হয়েছেন ৬৫০ জন। স্থানীয়দের দাবি, ক্যাম্পের ভেতরেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন গ্রুপ। ক্যাম্পের বেশির ভাগ ঘটনাই পরিকল্পিত। যার উদ্দেশ্য, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়া বানচাল করা। সচেতন মহল বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে, তাদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নয়তো এ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, যা আমাদের জন্য ভয়ংকর হবে। তবে পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, নানা কারণে রোহিঙ্গারা সহিংস হয়ে উঠছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বাজার গড়ে উঠছে। এগুলোর ভাড়া ও চাঁদা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close