পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে

  ১১ এপ্রিল, ২০১৯

আটকে গেল মোদির বায়োপিক

ইমরানের ‘রিভার সুইংয়ে’ বিপাকে বিজেপি

নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরও আটকে গেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে দেশের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দেশে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিএম নরেন্দ্র মোদি ছবিটি রিলিজ করা যাবে না। আজই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদির দল জিতলে কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে ফের শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা আর তা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইমরানের এই বক্তব্যের পর ভোটের ঠিক আগে, রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর দল বিজেপি। কারণ নরেন্দ্র মোদি থেকে বিজেপির নেতাদের প্রচারের অভিমুখই ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রচার।

এর আগে, পিএম নরেন্দ্র মোদির মুক্তির বিরুদ্ধে করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। এক কংগ্রেস নেতার করা ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ রকম একটি বিষয় নিয়ে চর্চা করার অর্থ, আদালতের সময় নষ্ট করা। ছবিটি বিজেপিকে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে কিনা, তা ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, দুই দিন আগে, পিএম নরেন্দ্র মোদি, ছবিটিকে ইউ সার্টিফিকেট দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। ফলে ১১ এপ্রিল থেকে ছবিটির প্রদর্শনে কোনো বাধা ছিল না। খবর ছবিটির কোনো অংশ কাটা হয়নি। পাঁচটি জায়গায় হালকা পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। তবে দেশের নির্বাচন কমিশন এ-ও জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির প্যানেল বিষয়টি আরো নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখবে। সামান্য এক চাওয়ালা থেকে প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদির এই জীবনযাত্রাই ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’র বিষয়বস্তু। নরেন্দ্র মোদির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিবেক ওবেরয়। ছবির বেশির ভাগ অংশের শুটিং হয়েছে গুজরাট, হিমাচল এবং দিল্লিতে। কিন্তু গোড়া থেকেই ভোটের মুখে এই ছবি মুক্তি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এ ছবির মুক্তি আটকে গেছে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বুধবারের মন্তব্যের পর রাজনৈতিকভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদির দল জিতলে কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে ফের শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা আর তা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটুকু বলেই থামেননি ইমরান খান। উল্টোটা হলে কী হতে পারে, তা-ও জানিয়েছেন। ইমরানের কথায়, ভোটে জিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে, কাশ্মীর সমস্যা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই থাকবে। কারণ দক্ষিণপন্থিরা হইচই বাধাবেন, এই ভয়ে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে, কংগ্রেস ততটা এগোবে না। যেটা একমাত্র সম্ভব, যদি বিজেপির মতো কোনো দক্ষিণপন্থি দল ক্ষমতায় আসে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close