গাজী শাহনেওয়াজ
দ্বিতীয় ধাপে আজ ভোট ১১৬ উপজেলায়
* শান্তিপূর্ণ করতে অঙ্গীকার ইসির * ছয় থানার ওসি প্রত্যাহার * প্রার্থী ১৩২৫, ভোটার ১,৭৯,৯০,০০৬
সারা দেশের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে পাঁচধাপে করতে তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১০ মার্চ প্রথম ধাপের নির্বাচন হয়। আজ সোমবার দ্বিতীয় ধাপের ১১৬টি উপজেলায় ভোট হবে। এ ধাপে ১২৯টি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ৪৮ জন (চেয়ারম্যান পদে ২৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন) নির্বাচিত হন। এখন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১ হাজার ৩২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন ভোটার রয়েছেন। প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছিলেন ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে তুলনামূলক কম। তবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটের শতাংশ বাড়বে বলে আশা ইসির। এদিকে নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ইসি সচিব বলেছেন, নির্বাচনে কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে কমিশন পুরো নির্বাচনই বন্ধ করে দেবে। গতকাল রোববার বিকালে ব্রিফিং করে এ কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।
অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রেও পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সব সরঞ্জামাদি। এছাড়া শনিবার থেকে পুরো নির্বাচনী এলাকা আইনশৃঙ্খলার সদস্যরা নিরাপত্তার চাদরে মোড়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের এলাকায় প্রবেশে সন্দেহভাজনদের দেহ-তল্লাশি ও যান্ত্রিক যান চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভারী যানবাহন নিয়ে এলাকায় চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। তিন স্তরের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ-আনসার-গ্রাম পুলিশ। তবে পার্বত্য এলাকায় নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী। এসব বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটারদের ভোটদানে সহায়তা করবেন। নির্বাচনের দিন প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে এরই মধ্যে কমিশন থেকে বেশকিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি।
আর প্রার্থী, তাদের কর্মী-সমর্থক ও অনাকাক্সিক্ষত ব্যক্তিদের আচরণবিধি তদারিকতে কাজ করবেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনের এলাকাতে আগেই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
প্রথমবার দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বর্জন করায় উপজেলা নির্বাচনটি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে নিজ দলীয় প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে।
এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি, দিনাজপুরের বিরগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা ও বান্দরবানের আলীকদম থানাসহ মোট ছয় থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে কমিশন। তাদের পরিবর্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
"