আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৬ মার্চ, ২০১৯

বর্ণবাদ ও ঘৃণা থেকে হামলা

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ হামলাকারী নিজেকে ব্রেন্টন টেরেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে জানিয়েছে, সে ২৮ বছর বয়সি এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন শহরের অধিবাসী সে। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনোফেস্টো প্রকাশ করে। নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করেছে ব্রেন্টন টেরেন্ট। অস্ট্রেলিয়ার কিছু গণমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সুইডেনের স্টকহোম শহরে জঙ্গিদের ট্রাকচাপায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই নাকি টেরেন্ট এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ধারণার পেছনে হামলাকারীর রাইফেল লেখা কিছু শব্দ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে নিউজ ডটকম এইউ, টাইমস নাও এর মতো মিডিয়াগুলো। টেরেন্ট যে রাইফেল নিয়ে এই হামলা চালায়, সেটার গায়ে কিছু শব্দ লেখা ছিল। হামলার ভিডিওতে যে শব্দগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এ লেখাগুলো হলো, ‘ঞড় ঃধশব ৎবাবহমব ভড়ৎ ঊননধ অশবৎষঁহফ’। এবা আকারলাউন্ড নামের ১২ বছরের সুইডিশ মেয়েটি ছিল শ্রবণপ্রতিবন্ধী। স্কুল থেকে ফেরার পথে স্টকহোমের সেই ট্রাকচাপায় প্রাণ হারায় সে। এবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই ক্রাইস্টচার্চে হামলা করে টেরেন্ট। তার রাইফেলের লেখা এবং তার টুইটার অ্যাকাউন্টের বক্তব্য থেকে এই ধারণা করছে গণমাধ্যম। এদিকে হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, হামলাকারী কট্টর ডানপন্থি। ফেসবুকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ওই হামলাকারীর ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close