নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ মার্চ, ২০১৯

মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে প্রচারণা : মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার মধ্যরাতে। আগামী সোমবার ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। এদিকে নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে মাঠে নামছেন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্ট গার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরও দুই দিন মাঠে থাকবেন তারা। সেই সঙ্গে ১১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ২৩ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সাধারণ ১২ জন ও সংরক্ষিত ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। ভোটে অনিয়ম হলে সে দায় রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে এর দায়ভার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নিতে হবে। তিনি বলেন, আজ শনিবার মধ্যরাতে প্রচার শেষ হচ্ছে।

৩২ ঘণ্টা আগে প্রচারণা শেষ : ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে (১৬ মার্চ মধ্যরাত) সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ভোটের সাত দিন আগে থেকে বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন, প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি

ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্যসহ গ্রামপুলিশ থাকবে সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রভেদে। সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ জন ও অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন নিয়োজিত থাকবে। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতি এলাকায় দু-তিন প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

পাঁচ দিনের জন্য মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী : আগামী ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণের আগে দুই দিন (১৬-১৭ মার্চ), ভোটের দিন (১৮ মার্চ) ও ভোটের পরে দুই দিন (১৯-২০ মার্চ) মিলিয়ে পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন। পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্ট গার্ড, আর্মড পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার থাকবে শৃঙ্খলা রক্ষায়। গ্রামপুলিশও থাকবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায়। নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম থাকবেন আচরণবিধি প্রতিপালনে। রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close