উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

  ১৫ মার্চ, ২০১৯

অগ্নিঝুঁকিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প আগুনঝুঁকিতে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, অতি ঝুঁকিপূর্ণ এসব ক্যাম্পে পানির প্রাকৃতিক উৎস একেবারেই নেই বললেই চলে। ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য আগুন নেভানোর আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজনও নগণ্য। ক্যাম্পগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই। এ কারণে যেকোনো সময় আগুনে ব্যাপক প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় দীর্ঘতম রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আল্লাহ না করুক যদি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে তাহলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া সেখানে কোনো ধরনের জলাশয় বা পানির ব্যবস্থা নেই। আমাদের একটি মাত্র গাড়ি আছে। যা দিয়ে কিছুই হবে না।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার থুই সাখুই মারমা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর রাস্তা সরু। কুতুপালং, লম্বাশিয়া, বালুখালী, ময়নাঘোনা, হাকিমপাড়া, থাইংখালী, তাজিনারমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ প্রতিটি ক্যাম্পই অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দূরে থাক, নেভানোর জন্য মানুষ চলাচল করাও দুষ্কর। আর্মি রোড ছাড়া রোহিঙ্গাদের আবাস স্থলে পর্যাপ্ত রাস্তা নেই গাড়ি চলাচলের জন্য। ক্যাম্পে একটি গ্রুপে ৫০ জন করে রোহিঙ্গা নিয়ে ৬০টি গ্রুপকে এরই মধ্যে অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যেখানে আগুন লাগবে তার পাশের ঘর ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি বাহিনী প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টহলরত থাকেন। বালুখালী-ময়নাঘোনা ১১নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা জিয়াবুর রহমান বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জানমাল একমাত্র আল্লাহর হাতে। যে আল্লাহ আগুনে মারতে পারেন সে আল্লাহ আগুন থেকে রক্ষাও করতে পারেন। উখিয়ার দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্মসূচি রাজাপালং ইউনিয়নের ডেপুটি টিম লিডার এইচকে রফিক উদ্দিন বলেন, এত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সুব্যবস্থা নেই। প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ড ঘটিলে নির্বাপকের সুযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close