নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মার্চ, ২০১৯

মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন দিলেন

এগিয়ে চলছে উত্তাল মার্চের স্বাধীকার আন্দোলন, পরিস্থিতি এগোচ্ছে মুক্তি সংগ্রামের দিকে ১৪ মার্চেও পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভ হলো। অলি আহাদ, আতাউর রহমান, মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন করেছেন। ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়ন ইয়াহিয়ার নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ করলেও, স্পষ্টভাবে স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিতে পারেনি তাদের পাকিস্তানভিত্তিক সাংগঠনিক কাঠামোর জন্য, ওয়ালি খানের ওপর তারা অনেকে নির্ভর করত। ইয়াহিয়া খান ২৫ মার্চ আবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) অধিবেশন ডাকলেন। বঙ্গবন্ধু বললেন, সংগ্রামী জনতার রক্ত মাড়িয়ে তিনি অ্যাসেম্বলিতে যাবেন না, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে, হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার করতে হবে। কিন্তু গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি হলো না। ইয়াহিয়া খান ১৫ মার্চ ঢাকা এলেন আলোচনার জন্য, বাংলার রাজনীতিতে পাকিস্তানপন্থিরা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠল। জনগণ প্রাসাদ রাজনীতির গন্ধ পেল। ১৬ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত আলোচনা চলল, কোনো ফল নেই, কেননা সময় ক্ষেপণ ছিল তাদের লক্ষ্য। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠল। ১৮ তারিখ থেকে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন অভিমুখে মিছিল শুরু হলো, প্রতিদিন তা বাড়তে লাগল। ২২ তারিখে শত শত মিছিল, ছাত্র শ্রমিক জনতার। বঙ্গবন্ধু ভবনে তা আছড়ে পড়তে লাগল। ১৯ মার্চ জয়দেবপুর ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সৈনিকদের নিরস্ত্র করতে গিয়ে সংঘর্ষে প্রায় ২২ জন মারা যায়। ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস। সংগ্রাম পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, এ দিন পাকিস্তান প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। সারা দেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ানো হবে, জয় বাংলা বাহিনী মার্চ করে বঙ্গবন্ধু ভবনে যাবে। ২২ তারিখ গভীর রাত থেকেই এ কাজ শুরু হয়ে যায়। ২৩ তারিখ সকালের পত্রিকায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার ছবি ছাপানো হয়। ২৩ মার্চ সকাল থেকেই স্বাধীন বাংলার পতাকায় সয়লাব হয়ে যায় সারা দেশে। বাস্তবে পাকিস্তানের কফিনে ২৩ তারিখই শেষ পেরেকটি ঠুকে দেওয়া হয়েছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close