নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ মার্চ, ২০১৯

গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের ঝুঁকিতে ৩০ লাখ মানুষ

গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। অসচেতনতা ও পর্যাপ্ত সেবা কেন্দ্রের অভাবে চিরতরে অন্ধ হওয়া আড়াই লাখের সঙ্গে প্রতিনিয়তই বাড়ছে অন্ধ মানুষের সংখ্যা। গ্লুকোমায় হারানো দৃষ্টি কোনো চিকিৎসাতেই ফিরে না আসায় সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

খুব কাছের দৃষ্টিও অস্পষ্ট সাড়ে চার বছর বয়সি গ্লুকোমায় আক্রান্ত রোগী সাদিকের। জন্ম থেকেই গ্লুকোমায় আক্রান্ত সাদিক এরই মধ্যে হারিয়েছে দৃষ্টির ৫০ ভাগ। চিকিৎসা চালিয়ে না গেলে বাকি অংশও হারানোর আশঙ্কা চিকিৎসকের। এদিকে কানিজ হায়দারের ৮০ ভাগ দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে গ্লুকোমা। দুই চোখে দুটি বড় অপারেশনের পর স্বস্তিবোধ করলেও বাকি ২০ ভাগ দৃষ্টি সচল রাখতে চালাতে হচ্ছে ধারাবাহিক চিকিৎসা। গ্লুকোমায় চোখের চারপাশ থেকে ধীরে ধীরে দৃষ্টির ব্যাপ্তি কমতে থাকায় রোগীরা বুঝতে পারেন অনেক দেরিতে। তাই কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিভাগীয় শহরে অবস্থিত মেডিকেল কলেজগুলোতেই শুধু গ্লুকোমা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাদি আছে। কিন্তু সারা দেশের তুলনায় তা নিতান্তই অপ্রতুল। গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহীদ বলেন, গ্লুকোমা ধরা পড়ার পর তা নিয়মিত চিকিৎসা করালে ভালোভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু নিয়মিত চিকিৎসা না করালে রোগী ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাবে।

সমস্যা সমাধানে ৫০টির সঙ্গে আরো দেড়শটি ভিশন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানালেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, ভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উন্নত চিকিৎসার সুবিধা পাবে।

গ্লুকোমা চোখে অনিরাময়যোগ্য অন্ধত্ব তৈরি করে। গবেষণা বলছে, দেশে চল্লিশোর্ধ্ব শতকরা দুজন গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত। এ রোগে বংশের প্রভাব থাকায় আক্রান্তের বাবা মা ভাই বোনের পাশাপাশি চল্লিশোর্ধ্ব সবাইকে অন্তত একবার চোখের গ্লুকোমা পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close