নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ মার্চ, ২০১৯

তামাকজনিত রোগ

চিকিৎসায় বছরে ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকা

তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত ২৩ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে সরকারকে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায় বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের দুর্বল কর ব্যবস্থাপনার সুযোগ নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলো সরকারকে প্রচুর রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার প্রেস ক্লাবে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট আয়োজিত তামাকের স্বাস্থ্য ক্ষতিরোধে তামাক করনীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান বিশেষজ্ঞরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যত মানুষ তামাক ব্যবহার করে তার অন্তত ৫০ ভাগ মানুষ তামাকজনিত রোগে অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তামাকজনিত রোগের চিকিৎসার ব্যয় অনেক। এই ব্যয় মেটাতে অনেক পরিবারকে সর্বস্বান্ত হতে হয়। তাছাড়া তামাকের সামাজিক প্রভাবও অনেক। তাই যেভাবেই হোক, তামাককে রুখতে হবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, তামাকের যে দৃশ্যমান কর দেখা যায় তা অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রেই তা আবার (হিডেন) গোপন থাকে, যা সহজে অনেকেই বুঝবে না। কারণ তামাকের শুল্ক কাঠামো অত্যন্ত জটিল। বিদ্যমান তামাকের কর ব্যবস্থাকে যদি জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোর সুপারিশের আলোকে সংশোধন করা হয়, তাহলে ২০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি, সরকার বছরে অনেক টাকার কর পাবে। তিনি বলেন, আমরা জানি কোনো পণ্যের দাম বাড়লে তার চাহিদা কমে। তামাকের প্রকৃত মূল্য, কর বৃদ্ধি, এবং জোগান কমানোর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পাওয়া যায় এবং তা প্রমাণিত।

আলোচনা সভায় আরো ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ও ফোকাল পারসন রুমানা হক, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট পরিচালক গাউস পিয়ারী, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট তৌফিক মারুফ, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন মারুফ, দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম ও ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কান্ট্রি অ্যাডভাইজর শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close