নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ মার্চ, ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধের ক্ষণ গণনা শুরু

অগ্নিঝরা ১১ মার্চ আজ। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের এই দিনে দেশকে স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে অসংখ্য মিছিল-সমাবেশ হয়। স্বাধিকার আন্দোলনের মুক্তিকামী মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সামরিক শাসকের নির্দেশ কেউ মানছিল না তখন। সবকিছুই চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। এদিকে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে কখন যুদ্ধ শুরু হবে, সেই ক্ষণ গণনাও শুরু হয়ে যায়।

এদিন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ ব্যাংক ও অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখার জন্য অনেকগুলো নির্দেশ জারি করেন। তিনি ১১ মার্চ এক বিবৃতিতে বলেন, চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কঠোর শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার জন্য জনসাধারণকে অভিনন্দন জানান।

মস্কোপন্থি ছাত্র ইউনিয়ন ‘পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর, পৃথক রাষ্ট্র গঠন কর’ সেøাগান সংবলিত একটি লিফলেট বিলি করে। একই দিন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তান থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে একটি দীর্ঘ টেলিগ্রাম পাঠান। তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে দুঃখ ও উদ্বেগের কথা জানান। এই দিন দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মহাসচিব উথান্ট বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের সব কর্মচারীকে নিউইয়র্কে সদর দফতরে চলে যাবার নির্দেশ দেন। এদিকে দিন যতই ঘনিয়ে আসছিল ততই পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ চলমান সংগ্রামে সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। ফলে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার প্রশ্নে অবিস্মরণীয় ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছিল। মার্চের ১১ তারিখে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close