মাথাপিছু গড় আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ সবদিক থেকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আশির দশকে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, বাংলাদেশের ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই অবস্থান থেকে এখন বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশ আর পাকিস্তানের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়াও মাথাপিছু গড় আয়, জনসংখ্যার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণসহ সবদিক থেকে বাংলাদেশের পেছনে পড়েছে পাকিস্তান। উচ্চ

প্রবৃদ্ধির হার ও নিম্ন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের কারণে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে চলছে পাকিস্তান তখন সন্ত্রাসবাদ ও পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনে তার সময় ও সম্পদ বিনিয়োগ করেছেÑ এটাই তাদের পিছিয়ে পড়ায় প্রধান কারণ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা লাভ করে তখন দেশটি বেশির ভাগ অর্থসামাজিক সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। আজ বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে মানব উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে। এর কারণ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ ও পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনে তার সময় ও সম্পদ বিনিয়োগ করেছে। ফলে আজ বাংলাদেশের পেছনে পড়ে আছে পাকিস্তান।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, নব্বইয়ের দশকে পাকিস্তানিদের মাথাপিছু গড় আয় ছিল ২০৬০ ডলার, ভারতের ১১২০ ডলার এবং বাংলাদেশের মাত্র ৮৫০ ডলার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় ৫ গুণ বেড়ে হয়েছে ৪০৪০ ডলার। ভারতের আয় পৌঁছেছে ৭০৬০ ডলার এবং পাকিস্তানের ৫৮৩০ ডলার।

আশির দশকে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, ভারতের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। এখন পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৭ শতাংশ আর বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভারতের ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

পাকিস্তানের জনসংখ্যা বাড়ছে বাংলাদেশের দ্বিগুণ গতিতে। ২০১৭ সালের হিসাবে পাকিস্তানে বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ আর বাংলাদেশে ১ দশমিক ০৫ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশিদের গড় আয়ুও এখন পাকিস্তানিদের চেয়ে গড়ে ছয় বছর বেশি। ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানিদের গড় আয়ু ছিল ৫৫ দশমিক ২ বছর আর বাংলাদেশিদের ৪৮ দশমিক ৯ বছর। ২০১৬ সালে পাকিস্তানিদের গড় আয়ু দাঁড়ায় ৬৬ দশমিক ৫ বছর আর বাংলাদেশিদের ৭২ দশমিক ৫ বছর। ১৯৭৫ সালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার ছিল ২০০ জন। ২০১৬ সালে এ হার এসে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের ৭৯ এবং বাংলাদেশের ৩৪ জন।

"