শরীয়তপুর প্রতিনিধি

  ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

পদ্মা সেতুর ১০৫০ মিটার দৃশ্যমান

শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ডাঙা ৩৬ ও ৩৭ নম্বর খুঁটির ওপর বসল পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যান। গতকাল বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ পাঁজা করে আটকিয়ে খুঁঁটির ওপর স্প্যানটি বসিয়ে দেয়। এরপর থেকে খুঁঁটির ওপর চলছে অস্থায়ীভাবে বেয়ারিংয়ে ওয়েল্ডিং করে আটকানোর কর্মযজ্ঞ। আর সপ্তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোয় দৃশ্যমান হয়ে উঠল ১ হাজার ৫০ মিটার। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ৯০০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য। প্রকল্পের দায়িত্বশীল প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীরসহ একাধিক প্রকৌশলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

সকাল ৮টা থেকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সেতুর ৩৬ ও ৩৭ নম্বর খুঁটির পর

বসে স্প্যানটি। এ সময় (মূল সেতুর) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ কনস্টাকশন ইয়ার্ডের স্টক ইয়ার্ড থেকে ৩৬০০ টন ওজন ক্ষমতার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রেনবাহী জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ জাহাজে চড়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে জাজিরা প্রান্তের খুঁঁটির কাছে নোঙর করে। এ স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ষষ্ঠ স্প্যান, উভয়প্রান্ত মিলিয়ে ৭ম স্প্যান।

দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, এ স্প্যানটি বসানোর পর জাজিরা প্রান্তে সেতুর মূল অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৯০০ মিটার, আর মাওয়া প্রান্ত মিলিয়ে দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০ মিটারে। প্রকল্পের দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর প্রথম স্প্যান, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুটির ওপর দ্বিতীয় স্প্যান এবং গত ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর তৃতীয় স্প্যান এবং গত ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান স্থাপনে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। ২০১৮ সালের ২৯ জুন ৫ম স্প্যান ও ১৩ অক্টোবর মাওয়া প্রান্তের বসানো হয় ষষ্ঠ স্প্যান। এরপরই ৯০০ মিটার দৈর্ঘ্যে সেতুর মূল অবকাঠামো মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় পদ্মার বুকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close