নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

শহীদ মিনার ঘিরে ৪ স্তরের নিরাপত্তা প্রভাতফেরিতে যেভাবে যাবেন

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় নিñিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজধানীর অন্যান্য শহীদ মিনারগুলোতেও সুদৃঢ় ও নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ছয় হাজার পুলিশ এবং রাজধানীজুড়ে থাকছে ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এই এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে। শহীদ মিনারের প্রবেশপথে থাকবে আর্চওয়ে। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।

শহীদ মিনার কেন্দ্রীক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আগতদের তল্লাশি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ভাসমান দোকান, হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকে আগামীদিন সারা দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোনো যানবাহনকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কূটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন।

প্রভাত ফেরিতে যেভাবে যাবেন :

মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আজিমপুর কবরস্থান এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের জন্য রুট-ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির রুট-ম্যাপ আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে।

ট্রাইব্যুনালের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি মোড়, উপাচার্য ভবনের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড়, নিউমার্কেট ক্রসিং পার হয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যেতে পারবেন জনসাধারণ। কবরস্থানের উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। শহীদদের কবর জিয়ারতের শেষে কবরস্থানের মূল গেট (দক্ষিণ দিকের) দিয়ে বের হতে হবে। আজিমপুর সড়ক হয়ে পলাশী মোড় ও ফুলার রোড মোড় হয়ে অর্থাৎ সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যেতে হবে।

এছাড়া নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে হোম ইকোনমিক্স ও ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়েও আজিমপুর (বেবি আইসক্রিম) মোড়, পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে। চাঁনখার পুল এলাকা থেকে বকশি বাজার মোড় হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়েও পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা দিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।

কবরস্থানে না গিয়ে বিকল্প পথে যারা শহীদ মিনারে যেতে চান, তারা উপাচার্য ভবন পার হয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড় থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে (জহুরুল হক হলের পশ্চিমের রাস্তা) সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।

টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিববাড়ীর পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। উপাচার্য ভবন গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চাঁনখার পুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা জনসাধারণের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে শহীদ মিনার থেকে বের হতে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও পেছনের রাস্তা দিয়ে চাঁনখার পুল ব্যবহার করতে হবে। এই রাস্তা ব্যবহার করে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়া যাবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close