কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কোটবাড়ী এলাকায় বালুর স্তূপের নিচ থেকে গতকাল সোমবার বিকেলে পুলিশ আলী আব্বাস (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে। গত রোববার রাতে অপহরণকারীরা কৌশলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। গতকাল সোমবার সকালে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার ফাঁদ পেতে পুলিশ দুই অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে এ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সালমানপুর এলাকার বাসিন্দা আবু মুসার সন্তান আলী আব্বাস ওরফে তৌহিদুল ইসলামকে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টায় কৌশলে অপহরণকারীরা বাসা থেকে বের করে নেয়। এরপর রাত আনুমানিক ১টায় অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে নিহতের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে রাতভর আলী আব্বাসের পরিবারের লোকজন বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান লাভে ব্যর্থ হয়।

গতকাল সোমবার অপহরণকারীরা আবার নিহতের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোন করে। এ সময় পরিবারের লোকজন টাকা দেওয়ার কথা বললে অপহরণকারীরা নগরীর মনোহরপুর এলাকায় সাত্তার খান কমপ্লেক্স নামের একটি বিলাসবহুল মার্কেটে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসতে বলে। বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে সদর দক্ষিণ থানার চাঙ্গিনী ফাঁড়ির আইসি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই মার্কেটে ওত পেতে থাকে। সকাল ১০টায় টাকা নিতে এলে পুলিশ সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার মবিন নামের একজনকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর এলাকার মাজহার নামের আরো একজনকে আটকে আলী আব্বাসের সন্ধানে চাপ প্রয়োগ করলে বিকেলে আটক দুজন তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে। পরে বিকেল ৫টায় কোটবাড়ী সিটি কলেজ নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেছনের বালুর স্তূপের নিচ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আলী আব্বাস কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কোটবাড়ী এলাকার টিটিসি নামের একটি কারিগরি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই জাহিদ বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেছেন। সদর দক্ষিণ থানাধীন কোটবাড়ী চাঙ্গিনী ফাঁড়ির আইসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

"