আদালত প্রতিবেদক

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

অভিজিৎ হত্যা

মেজর জিয়াসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ব্লগার অভিজিত হত্যায় পলাতক মেজর জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেওয়া ওই হত্যাকান্ডে ১২ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পেলেও তাদের মধ্যে পাঁচজনের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় এবং একজনের মৃত্যু হওয়ায় চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে ছয়জনকে।

জঙ্গি সংগঠন আনসারল্লাহ বাংলা টিমের কথিত নেতা সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং ‘উগ্রপন্থি ব্লগার’ সাফিউর রহমান ফারাবিও রয়েছেন এই ছয়জনের মধ্যে। গতকাল সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে এ তদন্তভার আসার পর, এই ঘটনার সঙ্গে মোট ১১ জনকে চিহ্নিত করি। এই ১১ জনের বাইরে একজন শফিউর রহমান ফারাবি। অভিজিৎ হত্যায় ফারাবি ফেসবুকে ও অন্য জায়গায় বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট দিয়েছেন। সেজন্য এই মামলায় ফারাবিকে প্ররোচনাকারী দেখানো হয়েছে। এর বাইরে এ মামলায় মোট ১১ জন জড়িত। ১১ জনের মধ্যে সবার নাম-ঠিকানা পাইনি। তবে ছয়জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাই ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে আমরা তিনজনকে গ্রেফতার করি। গ্রেফতারকৃত তিনজন মোজাম্মেল হোসেন সাইমন, আরাফাত রহমান শামস ও আবু সিদ্দিক সোহেল তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি থেকে আমরা আলামত বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হই। এ ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড সেনাবাহিনী থেকে পলাতক মেজর জিয়া যার নেতৃত্বে মোট ১১ জন এ ঘটনা সংগঠিত করেছেন।

তিনি জানান, লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় আমেরিকা থেকে কবে দেশে আসবেন সেই তথ্য জঙ্গিরা বিভিন্ন প্রকাশনী ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে প্রায় দুই মাস আগেই সংগ্রহ করেছিল। এরপরই জঙ্গিদের ইনটেলিজেন্স গ্রুপ জানতে পারে বইমেলার সময় দেশে আসতে পারে অভিজিত। তথ্য অনুযায়ী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইনটেলিজেন্স ও কিলার গ্রুপ এলিফ্যান্ট রোডে একটি বাড়ি ভাড়া করে মারকাস বা অপারেশন হাউস হিসেবে। সেখান থেকেই মূলত জঙ্গিরা অভিজিৎকে রেকি করা শুরু করে।

এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রথম জাগৃতি প্রকাশনীতে অভিজিৎকে দেখেন। সেখান থেকে অভিজিত ধানমন্ডির একটি কফি হাউসে যান। পিছে পিছে জঙ্গিরাও যায়। ওইদিনও তারা অভিজিৎকে কিছু করেনি। এভাবে ২৩, ২৪, ২৫ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎকে রেকি করে জঙ্গিরা। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। ঘটনার সময় মুকুল রানা কিলার গ্রুপে ছিলেন। আশেপাশে ছিলেন মেজর জিয়া ও সায়মন। সোহেল রানা ও আরাফাত কিলার ও ইনটেলিজেন্স দুই গ্রুপেই ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close