প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আবুধাবি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে অংশ নেন তিনি। গতকাল রোববার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে জার্মানি থেকে আবুধাবিতে পৌঁছে স্থানীয় সময় সকালে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেন।

আবুধাবি ন্যাশনাল প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত এ প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী সামরিক কর্মকর্তা ও সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও আধুনিক অস্ত্র সম্পর্কে জানার বিশাল সুযোগ। এর আগে প্রদর্শনী সেন্টারে পৌঁছানোর পর আবুধানির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান তাকে অভিনন্দন জানান।

এদিকে শনিবার রাতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বিশ্বকে রক্ষায় ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে কাজ করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনা এবং অর্থায়ন রয়েছে। আমাদের এখন কেবল প্রয়োজন সমাজের সর্বত্র ধনিকশ্রেণির সদিচ্ছা, আগ্রহ ও প্রচেষ্টা।’

আলোচনা অনুষ্ঠানে পোস্টডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট পরিচালক হানস জোয়াসিম সভাপতিত্ব করেন। কেবিনেট সেক্রেটারি ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব কেনিয়া মনিকা জুমা, নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনি ইরিকসন সরিডি, ইউএস সিনেটর সেলডন, হোয়াইট হাউস অ্যান্ড কো-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অব গ্রিন পিস ইন্টারন্যাশনাল বুন্নি ম্যাকডিয়ারমিড প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। ডয়চে ভেলের চিফ পলিটিক্যাল করসপনডেন্ট বার্লিন ম্যালিন্ডা ক্রেনি রোর্স অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

২০১২ সালে ইউএনজিএ সিদ্ধান্তের বিষয় পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সমষ্টিগত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের আরো অনেক হুমকির কারণে লাখ লাখ মানুষ পৈতৃক ভূমি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে, নদীভাঙন, লবণাক্ত পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মিশ্রণের কারণে এসব ঘটছে।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে পানিতে এসিডিটি বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা সামান্যই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close