বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকার (বগুড়া-৭) জনগণের চাপের মুখে কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন, সেটিও তো ভেবে দেখতে হবে। আমার তো মনে হয় তিনিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। আর কৌশলগত কারণে পরে শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বিএনপি।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা জানান তিনি। আর সংসদ সদস্য হিসেবে গণফোরামের সুলতান মো. মনসুর আহমেদ ও মুকাব্বির খানও শেষ পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্টের বারণ মানবেন না বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। ঐক্যফ্রন্ট থেকে দুজন সংসদ সদস্যকে তারা শপথ নিতে বারণ করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা কী শুনবে নেতৃত্বের বারণ? আমার তো মনে হয় না, বলেন কাদের।

ভোটে জয়ী গণফোরামের দুই নেতার সঙ্গে ‘কথা হয়েছে’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা জনগণের হয়ে সংসদে কথা বলতে চাই এ রকম মনোভাব তাদের মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না করার যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর নাও হতে পারে।

বিএনপি না এলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থিতার অভাব হবে না। এটা তো জাতীয় নির্বাচন না। তবে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অনেক দলই নির্বাচন করবে।

বিএনপির কর্মসূচি মোকাবিলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা এই মুহূর্তে ছত্রভঙ্গ, এলোমেলো একটা দল। পথিক যেমন পথ হারায় নির্বাচনে হেরে সেই দিশেহারা পথিকের মতো এখন বিএনপি। তারা কী করবে না করবে, সেটাই ভেবে পাচ্ছে না। কিংকর্তব্যবিমূঢ় এখন বিএনপি। তাদের দলের মধ্যে যখন মিটিং বসে তখন ভিন্ন ভিন্ন মত আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি।

"