নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

দুদকের প্রতিবেদন

শিক্ষাব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সুপারিশ

শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান অনিয়ম, দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৫ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দুর্নীতি-অনিয়মরোধে কয়েকটি সুপারিশও করেছে তারা। সুপারিশে বলা হয়, এ ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয় থেকে উত্তরণ জরুরি। দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিনের সই করা সুপারিশ গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, প্রতিবেদন তৈরির আগে দুদক চেয়ারম্যান নিজেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেছেন। গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের পাঁচটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১১ শিক্ষকের মধ্যে ৯ জনকে অনুপস্থিত দেখেন দুদক চেয়ারম্যান। ভাটিয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র দুজনকে কর্মক্ষেত্রে পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় কাউকেই উপস্থিত পাননি ইকবাল মাহমুদ। শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি থেকে এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ২৭ শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার প্রমাণ পান দুদক চেয়ারম্যান।

সুপারিশে এমন অনেক সরেজমিন তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে না এসেই দায়িত্ব পালন করছেন। অনুত্তীর্ণ ছাত্রদের উত্তীর্ণ দেখিয়ে শিক্ষাবিমুখ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। সুপারিশে বলা হয়, দুদক মনে করে, এ ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা ও অবক্ষয় থেকে উত্তরণ জরুরি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close