একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন ভিত্তিহীন। তাদের বক্তব্য পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি।’ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গতকাল বুধবার বিকেলে কমিশনে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি। এদিকে আগামী মার্চে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এ নির্বাচন করে ফেলব।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদের মাঝেই এ নির্বাচন করা হবে। তবে এ বিষয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে পুনঃতফসিল করা হবে। বসতে হবে সবার সঙ্গে। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করে ফেলব। উপজেলা নির্বাচন এর ওপর প্রভাব ফেলবে না। এর মধ্যেই করে ফেলব।’

নির্বাচন বিষয়ে টিআইবি যে মন্তব্য করেছে তা অসৌজন্যমূলক উল্লেখ করে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ওই প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি, কারণ মাঠপর্যায় থেকে আমরা এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। এমনকি গণমাধ্যম থেকেও অভিযোগ পাইনি। যারা নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন, তাদেরও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। টিআইবি যে রকম বলেছে, তার সতত্য নেই।’

আপনাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা অসৌজন্যমূলক, লজ্জাকর বিষয়। এ কথাগুলো এভাবে বলা ঠিক হয়নি। ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে সংস্থাটির পরিচালক ফরহাদ হোসেন, বেলায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভোটে ব্যাপক অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে টিআইবি। এ নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি। ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার টিআইবির ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে করা গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরে টিআইবি। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্য থেকে দ্বৈবচয়নের (লটারি) ভিত্তিতে ৫০টি বেছে নেয় সংস্থাটি।

"